বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে রেকর্ড: ডব্লিউএমও

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২১ ০৬:০১; আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:১৫

ছবি: সংগৃহীত

বায়ুমণ্ডলে যেসব গ্যাসের পরিমাণ বাড়লে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ে, সেসবকে বলা হয় গ্রিনহাউস গ্যাস। জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২০ সালে গ্রিনহাউস গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন চলা সত্ত্বেও প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ছিল ৪১৩ দশমিক ২ পার্টস। গত এক দশকেও এত বেশি কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি বায়ুমণ্ডলে লক্ষ্য করা যায়নি।

ডব্লিউেএমওর মহাপরিচালক পেটেরি তালাস এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলেন, ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল- প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় বিশ্বের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশসমূহ এই শর্ত মেনেই তাতে স্বাক্ষর করেছিল।

‘কিন্তু গত বছর যে হারে কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ ঘটেছে, তা যদি অব্যাহত থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের সামনে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে।’

চলতি বছর নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক জল সম্মেলনে সম্পাদিত চুক্তিবায়ু সম্মেলন। সম্মেণল যত এগিয়ে আসছে, ততই আলোচনায় আসছে ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছ, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনবে দেশটি। চলতি সপ্তাহের শনিবার সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা দিয়েছেন, সৌদি আরব কার্বন নিঃসরণ শূণ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনবে ২০১৬ সালে।

অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রিসভাও সোমবারের বৈঠকে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এক বিৃবতিতে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

২০০৯ সালে বিশ্বের ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করতে অনুন্নত দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যার্থ হয়েছে তারা।

রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের প্যানেল সম্প্রতি হিসেব কষে দেখিয়েছেন, প্রতি বছর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খাতে উন্নত দেশগুলো যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে, তার মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ দিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে বিশ্বকে আরো অনেক বেশি সবুজ করে তোলা সম্ভব।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top