অস্তিত্ব সংকটে তিব্বতের মুসলিমরা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২২ ০৭:১৫; আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১১:৪০

ছবি: প্রতীকী

বেশিরিভাগ মানুষই জানেন না তিব্বতে মুসলিম সমাজের কথা। তিব্বতে বসবাসকারী বৌদ্ধদের সঙ্গে মুসলিমদের পার্থক্য শুধু ধর্মেই। এছাড়া তাদের খাবার, সমাজে চলাচল, ভাষা, পোষাক একই রকম। কথাগুলো বলছিলেন, ভারতের ধর্মশালায় তিব্বত সরকারের হয়ে কাজ করা সখিনা ভাট। তিনি একজন তিব্বতীয় মুসলিম। চার বছর কাজ করার পর সরকারি পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। অবসরের পর নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

১৪ শতাব্দির দিকে নেপাল, চীন ও কাশ্মিরের ব্যবসায়িরা তিব্বতে বসবাস করতে শুরু করে। স্থানীয় তিব্বতি নারীদের সঙ্গে ব্যবসায়িরা সংসার শুরু করলে শুরু হয় তাদের স্থায়ী বসবাস। সেসময় মুসলিম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিয়ে অনেক বৌদ্ধ নারী ধর্মান্তরিত হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় তিব্বতিয়ান মুসলিমদের যাত্রা।

একই সংস্কৃতি, ভাষা ও পোষাক হলে তিব্বতে বসবাসরত মুসলিমদের খাচি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে সেখানকার মুসলিমদের মধ্যে আপত্তি আছে। কিন্তু অনেকটা জোরপূর্বক তাদের এই উপাধি দেওয়া হয়েছে।

১৯৫০ সালে যখন চীন তিব্বত দখল করলো, তখন দালাই লামাসহ আরও অনেকে ওই অঞ্চল ত্যাগ করে। সেসময় অনেক মুসলিমও তিব্বত ছেড়ে আশপাশের অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। কারণ তাদের মনে ভয় ছিলো যে, চীনা কমিউনিস্ট সরকার তিব্বতের ঐতিহ্য ও ধর্মগুলো নষ্ট করে দেবে।
বর্তমানে তিব্বত থেকে পালিয়ে আসা সবচেয়ে বড় মুসলিম কমিউনিটি বসবাস করছে ভারত অধ্যুষিত কাশ্মিরে। এছাড়া হিমালয় ঘেষা দার্জিলিং, কালিমপং এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও তাদের বসবাস আছে। এছাড়া নেপালে বসবাস করছে তিব্বত থেকে পালিয়ে আসা ১২০টি মুসলিম পরিবার।

এসব মুসলিমদের আদি বাসস্থান বিবেচনা করে কাশ্মিরে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিব্বতে খুব স্বল্প সংখ্যক মুসলিমের বসবাস আছে। যারা বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আছে। বিশেষ ধর্মীয় কারণে তাদের অনেকে তিব্বতী জনগণ হিসেবে মানতে নারাজ। তাদের বলা হয় হুই। যার মানে তিব্বতিয়ান নয়। যার কারণে তিব্বতে বসবাসরত মুসলিমরা এখন নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে সংকটে।

সূত্র: ইত্তেফাক



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top