রাজশাহীতে সার্জেন্ট

আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:৪৫; আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০১:১২

সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আত্মহত্যার ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রাজশাহী মহানগরীতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মজিবুর রহমান আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার দপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বালিচ গ্রামের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী মিস আইরিন ইয়াসমিন লিজা (৩৪) এবং ঢাকার সাভার থানার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া পলাশবাড়ী গ্রামের ফিরোজের মেয়ে মোসাঃ শামীমা আক্তার (২৪)। গ্রেপ্তার লিজা ও শামীমা সাভারের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিহত মজিবুর রহমান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। সে তার পরিবার নিয়ে উপশহর ২নং সেক্টর বাসায় ভাড়ায় থাকতো। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে যেকোন সময় মজিবুর আত্মহত্যা করেন। ওই দিন মজিবুর রহমানের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাসায় ছিলো না। খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ বাসার দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বড় ছেলে তার পিতার আত্মহত্যার বিষয়ে অবগত করলে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়। তার ছেলে আরো জানায়, মৃত্যুর পর তার পিতার মোবাইল ফোন সেট পাওয়া যায়নি এবং মৃতের স্ত্রী জানায়, তার বাসায় থাকা চার লক্ষ টাকা এবং ব্যাংক এর কিছু কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরে পুলিশ তদন্ত করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়া দুই যুবতিকে শনাক্ত করে। এরপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মনের নেতেৃত্বে পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে সাভার থেকে প্রথমে আইরিন ইয়াসমিন লিজাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার ব্যক্তিগত মোবাইল ও তার কাছ থেকে মৃত মজিবুর রহমানের খোয়া যাওয়া মোবাইল জব্দ করা হয়। এরপর বোয়ালিয়া থানার ওই টিম অপর আসামী মোসাঃ শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তোর করে। পুলিশ তারও ব্যক্তিগত মোবাইল জব্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মজিবুরকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে দেখে তার মোবাইল ফোন সেট, চাবি ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তারা শিক্ষকতার অন্তরালে একটি সংঘবদ্ধ ব্লাকমেলিং চক্রের সক্রিয় সদস



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top