জেলা পরিষদ নির্বাচন: মন জয়ে উড়ানো হচ্ছে টাকা
ডেস্ক নিউজ | প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৪৭; আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৪৮

প্যাকেট সেজেছে আকর্ষণীয় মোড়কে। ভেতরে লুঙ্গি, জায়নামাজ, তসবিহ, আতর ও টুপি। কারও ভাগ্যে জুটছে প্রেশার কুকার, ফ্লাক্স কিংবা শার্ট-প্যান্টের দামি পিস। কারও ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে প্রসাধনসামগ্রী কিংবা খাবার। জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের জন্য এসবই প্রার্থীদের উপহার! শুধু কী উপঢৌকন, ভোট নিশ্চিত করতে কোনো কোনো জেলায় চলছে টাকার খেলাও। ভোটারের মানভেদে টাকার কমবেশ। এলাকাভেদে মেম্বার-কাউন্সিলরদের পকেটে ঢুকছে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা, আর চেয়ারম্যান ও মেয়রদের সন্তুষ্ট করতে হচ্ছে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকায়। আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনী মঞ্চে নেই আমজনতা ভোটার। সিল মারার সুযোগ শুধু জনপ্রতিনিধিদের, তাই ভোটের শেষ ক্ষণে এখন তাঁদের দারুণ কদর! সূত্র: সমকাল।
দৈনিক সমকাল পত্রিকাতে প্রকাশিত রির্পোটে উল্লেখ করা হয়, ‘শেষ মুহূর্তে ভোট কিনতে প্রার্থীদের কোনো রাখঢাক নেই। কর্মী-সমর্থকরাও করছেন বেপরোয়া আচরণ। কে কত বেশি দেবে- এখন চলছে সেই প্রতিযোগিতা। উপহারের প্যাকেট ভোটারদের বাড়িতে এবং নগদ টাকা হাতে হাতে কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে উপহার দেওয়া-নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলেও নগদ টাকার বিষয়টি অনেকে স্বীকার করতে চাইছেন না। বিভিন্ন স্থান থেকে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনেও গেছে ভোট কেনাবেচার নালিশ। তবু থেমে নেই অশুভ এই তৎপরতা।
রাজশাহী
রাজশাহী জেলা পরিষদের এক সদস্য প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'সদস্য পদের জন্যই সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ দিতে হচ্ছে। না দিলে ভোটও দেবে না। চেয়ারম্যান-মেয়ররা টাকা না চাইলেও মেম্বার-কাউন্সিলররা রীতিমতো দরদাম করে টাকা চাইছেন। বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হচ্ছে।' দুর্গাপুরের এক সদস্য প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'এটা এ সময়ের রেওয়াজ। এই ধারার বাইরে গেলে ভোট নাই।'
ভোট কেনাবেচার হাটে আছে কিছু ব্যতিক্রম। সিলেটের সিটি মেয়র ছাড়াও কিছু কাউন্সিলর, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান রয়েছেন ভোট বিকিকিনির বিপক্ষে। সিলেট সদরের খাদিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আফছর আহমদ বলেন, আমার কাছে ভোট চেয়ে টাকার প্রস্তাবের সাহস করেননি কেউ। আমি ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলি। বিভিন্ন নির্বাচনে দলের পক্ষে নিজের টাকা খরচ করে প্রচারণা করি।
এদিকে, বরগুনায় টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে বেতাগী উপজেলার সদস্য প্রার্থী বাবুল আক্তারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীর উপস্থিতিতে তাঁকে অর্থদণ্ড দেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নূর।
এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে টাকা উড়ে বেশি। টাকা দিয়ে ভোট বিকিকিনির কারণে যোগ্য জনপ্রতিনিধি বেরিয়ে আসে না। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনেও টাকা দিয়ে ভোট কেনা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটার হওয়ায় টাকার হারটাও বেশি।' তাঁর মতে, রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে এসব ভোট বিকিকিনি রোধ করা সম্ভব।
টাকা লেনাদেনার কথা ভাইরাল: রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মোসাদ্দেক হোসেন বাবলুর বিরুদ্ধে ভোটারপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা লেনদেন-সংক্রান্ত একটি অডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গত বুধবার ভোট কেনার অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ। অভিযোগে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাদ্দেক ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যেক সদস্যকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। এ সময় প্রমাণ হিসেবে ভাইরাল হওয়া রেকর্ডটিও জমা দেওয়া হয়। ওই কলরেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মোবাইল ফোনের এক প্রান্তে ছিলেন রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য মাহাবুবা খাতুন। ছড়িয়ে পড়া আরেকটি অডিও ক্লিপের কণ্ঠস্বর ছিল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলামের। তাঁদের কথোপকথনে টাকা পাওয়া ও ভাগবাটোয়ারার বিষয়টি স্পষ্ট ছিল।
অডিও ক্লিপের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা যা সত্য, আমরা সেটাই বলেছি। ওই টাকার খাম ফেরত দেব, তাই খরচ করিনি। প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।'
এদিকে টাকার অঙ্কের সহজ হিসাব দিয়েছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার গণমাধ্যমকর্মী আবদুল মছব্বির। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'জেলা পরিষদ নির্বাচনে একেকটি ভোটের দাম ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। কেন যে জনপ্রতিনিধি হলাম না!'
উপহার-টাকায় ভোট: বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার স্থানীয় সাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিদুল ইসলাম। প্রার্থীর নাম উল্লেখ না করে তিনি জানান, তাঁর কাছে উপহারের প্যাকেট এসেছে। প্যাকেটে ছিল লুঙ্গি, জায়নামাজ আর প্রসাধনসামগ্রী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন পরিষদের আরেক সদস্য জানান, ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার শর্তে সংশ্নিষ্ট প্রার্থী ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন, আরও ১০ হাজার পাবেন সিল মারার পর।
বগুড়ার সোনাতলার দিগদাইড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দের পক্ষ থেকে একটি ফ্লাক্স ও সাধারণ সদস্য প্রার্থী জুলফিকার রহমান শান্তর কাছ থেকে একটি জায়নামাজ ও তসবিহ উপহার পেয়েছেন। জুলফিকার রহমান শান্ত বলেন, 'আমি হজ করতে গিয়ে কিছু জায়নামাজ ও তসবিহ এনেছিলাম। এর থেকে পরিচিতি ২-৩ জনকে জায়নামাজ ও তসবিহ দিয়েছি।'
সংরক্ষিত ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী লাবনী সরকার ভোটারদের ৪ হাজার টাকা ও একটি করে শীতের চাদর দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে লাবনী সরকার বলেন, 'এ অভিযোগ ঠিক নয়। আমি টাকার রাজনীতি করি না।'
চট্টগ্রামে ভোটারদের দেওয়া হচ্ছে নগদ টাকা ও উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দপত্রও। এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি চট্টগ্রামের তারকা হোটেলে ভোটারদের ডেকে আপ্যায়ন করার পাশাপাশি ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন।
পঞ্চগড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে। মোটরসাইকেল এবং আনারস প্রতীকের প্রার্থী তাঁদের চশমা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা ওড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন। তবে চশমা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হান্নান শেখ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দিনাজপুরে ভোট দেওয়ার আশ্বাসের ভিত্তিতে টাকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই লেনদেন চলছে অতি গোপনে।
পিরোজপুর সদর উপজেলা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নাসির উদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম সুমন অভিযোগ করেছেন, প্রার্থী ওসমান শেখ প্রকাশ্যে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। স্বরূপকাঠি উপজেলা পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী সেলিম হাওলাদারের অভিযোগ, প্রার্থী জাকারিয়া খান স্বপন দলীয় প্রভাব বিস্তার করছেন এবং ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন।
খুলনায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের খুলনায় ডেকে মতবিনিময় করেন এবং যাতায়াত খরচের কথা বলে ভোটারদের ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. শেখ বাহারুল আলম অভিযোগ করেন, ভোটারদের মধ্যে ইউপি সদস্যদের ভোট নিতে কালো টাকা ছড়ানো হচ্ছে- এটা বন্ধের জন্য সিইসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছি। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, কোনো ধরনের টাকা ছড়ানো হচ্ছে না।
নড়াইলে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে লোহাগড়ার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানকে ঢাকায় নিয়ে ভূরিভোজ করিয়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুললেও তাঁরা কৌশলী হয়ে কথা বলছেন।
সদরের সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হিটু জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আমাদের ডেকেছিলেন, সদরের ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মিলে তাঁকে বলে দিয়েছি, আমাদের কোনো টাকা-পয়সা লাগবে না। দলের বাইরে যাব না।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সুলতান মাহমুদ অভিযোগ করেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী কালো টাকা ছড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোস ভোটারদের টাকা দেওয়ার বিষয় প্রসঙ্গে বলেন, 'কোনো কোনো প্রার্থী রাতের আঁধারে সাদা গাড়িতে এসে কালো টাকা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আমি কাওকে টাকাও দেইনি, দেবও না।'
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট না থাকায় সদস্যরা পিছিয়ে নেই ভোট কেনার ক্ষেত্রে। সদস্য পদে ৩০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে ভোট কেনার গুঞ্জন রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য সুষমা সুলতানা রুহিকে প্রকাশ্যে এক নারী ইউপি সদস্যকে টাকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। একইভাবে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ব্যবসায়ী নাহিদ হাসান চৌধুরীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা বিতরণের অভিযোগ রয়েছে।
সুনামগঞ্জের একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে ভোটের জন্য ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা ও সদস্য পদে ভোটের জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন হচ্ছে। এখানে শক্তিশালী দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধেই টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আছে।
শেরপুরের চেয়ারম্যান প্রার্থী চন্দন কুমার পাল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, বিদ্রোহী হুমায়ুন কবীর রুমান ভোটারদের ভয়ভীতি এবং কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তারা যা বলছেন: এ ব্যাপারে রাজশাহীর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, 'টাকা দিয়ে ভোট কেনার কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেব।'
চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, 'আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ বেশি অভিযোগ পাওয়া কয়েকটি এলাকা নিয়ে আমাদের বাড়তি সতর্কতা রয়েছে। এরই মধ্যে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।'
নড়াইলের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, 'টাকা ছড়ানোর কোনো ধরনের অভিযোগ আমার জানা নেই।'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: