ভোট কেনাবেচা শেষে তৎপর হলো ইসি

ভোট কেনাবেচা শেষে তৎপর হলো ইসি

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৫৩; আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ০১:৪৯

ফাইল ছবি

জেলা পরিষদের ভোট শেষ হয়েছে গত ১৭ অক্টোবর। কিন্তু থামেনি নির্বাচনের রেশ। ভোট বেচাকেনার বিষয়টি এখনও বিভিন্ন জেলায় আলোচিত বিষয়। এমন পরিস্থিতি প্রকাশ্যে শুরু হয়েছিল নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগে থেকে। যদিও নির্বাচনী আইনের একাধিক ধারায় টাকা দিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার শাস্তির কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। তবুও এত দিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

উল্টো ভোট শেষ হওয়ার পরপরই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকাশ্যে ভোট বেচাকেনার ঘটনার পর ইসি কোনোভাবেই নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে দাবি করতে পারে না। কারণ টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার নির্বাচনকে অন্তত সুষ্ঠু বলার সুযোগ নেই।

দলীয় প্রতীক না থাকলেও এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সব জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিয়েছিল। এর মধ্যে ২৫ জেলায় বিনা ভোটে জয় পায় দলটি। ৩৪ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হলেও তার মধ্যে ২৪ জেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি ১০ জেলার মধ্যে একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবং ৯টি জেলায় জয়ী হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। শুধু চেয়ারম্যান পদেই নয়; সদস্য প্রার্থীরাও ভোট বেচাকেনায় কোনো অংশেই পিছিয়ে ছিলেন না। ভোট শেষ হওয়ার পর জড়িত প্রার্থী ও ভোটাররা সাক্ষ্য-প্রমাণসহ প্রকাশ্য বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন।

তৃণমূল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদধারী একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং একাধিক গণমাধ্যমেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ভোট বিক্রিতে জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে হাস্যরসেরও সৃষ্টি হয়।

ইসির নির্বাচন পরিচালনার শাখা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসির কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তিনটি জেলার ঘটনা কমিশন সদস্যরা আমলে নিয়েছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও পটুয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তিন দিনের সময় দিয়ে ভোট বেচাকেনা এবং জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই তিন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার (জেলা প্রশাসক) দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ইসির চিঠি পাওয়ার পর তাঁরা তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। আইনে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও এত দিন তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি কেন- এর কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট কে.এম. হোসেন আলী হাসান বলেন, এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি বলেন, নির্বাচনে টাকার খেলা তাঁর দল কখনোই সমর্থন করে না। এ বিষয়ে ইসির যথাযথ ভূমিকা নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় টাকার ছড়াছড়ি পুরোনো বিষয়। কিন্তু বর্তমানে এটা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এ পরিস্থিতিকে রাজনীতিবিদদের নৈতিক অবক্ষয় বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।

এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকায় ৮ অক্টোবর সারাদেশের ডিসি ও এসপির সঙ্গে বৈঠকেও সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, ‘শক্তি প্রয়োগ, অর্থ বিলিয়ে প্রভাব সৃষ্টি, ভীতি প্রদর্শন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের হুমকিসহ বহুবিধ অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন।’

ডিসিরা এই ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করলেও সিইসির এ বক্তব্যের পরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। এ নির্বাচনে ২৫ জেলার চেয়ারম্যান, বিভিন্ন জেলার ১৮ জন সংরক্ষিত এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ভোলা ও ফেনীর সব পদের প্রার্থীরা বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে- এসব স্থানে নির্বাচনে আগ্রহী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সরে দাঁড়াতে অর্থ ও পেশিশক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিধিমালা অনুযায়ী ভোট বেচাকেনার অপরাধ প্রমাণ হলে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ছাড়াও জেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে এ অপরাধের সাজা রয়েছে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই দণ্ড কীভাবে কার্যকর হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা তাঁদের নেই বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।


সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশের সংবিধান ও আইন ইসিকে নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট দিয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে। যে কোনোভাবে নির্বাচন শেষ করে সুষ্ঠু ভোট দাবি করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এবারের জেলা পরিষদ ভোটে প্রকাশ্যে টাকার খেলা চলেছে। ভোট শেষ হওয়ার পর তা আরও প্রকাশ হতে শুরু করেছে। এসব অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ড নির্বাচনী আইনানুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


সুজন সম্পাদক আরও বলেন, এই নির্বাচনে ভোটার এবং প্রার্থী প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন দলের। তাই দলগতভাবেই আওয়ামী লীগ এসব অপতৎপরতা বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়নি।


সিরাজগঞ্জে জাল টাকায় ভোট কেনার অভিযোগ : জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে (রায়গঞ্জ) জাল টাকা দিয়ে ভোট কেনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী সদস্য প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে। তিন কর্মদিবস সময় দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা আদেশ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছেছে।

আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রায়গঞ্জ ও জেলার গণমাধ্যমকর্মীসহ ভোটার, অভিযোগকারী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শুনানিতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

সহকারী রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সোমবার দুপুরে বলেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে ভোটের পরও অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রার্থিতা বাতিলসহ তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। ভোটের মাঠে নির্বাহী হাকিমসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা ছিলেন। ওই সময় অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যেত।


রায়গঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদ দেখে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। জাল টাকা কারও কাছ থেকে উদ্ধার হলে সে-ই ফেঁসে যাবে- এ ভয়ে কেউই পুলিশের কাছে মুখ খুলতে চায়নি।’ অভিযুক্ত সুমন সরকার সোমবার দুপুরে বলেন, ‘গণশুনানির চিঠি পাইনি। তবে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস ফোনে জানিয়েছে।’

পরাজিত প্রার্থী ফিরোজ উদ্দিন খান বলেন, ‘এসব গণশুনানি দিয়ে আর কী হবে! ভোটাররা সিলেক্টেড। ওয়ার্ডে ১৩২ জন ভোটার। আর ধানগড়া বাজারের যে স্থানের কথা বলা হচ্ছে, সেখানেও ভোটার ২৬-২৭ জন। জানার পরপরই পুলিশ দিয়ে তাদের বাড়ি তল্লাশি করলে জাল টাকা পাওয়া যেত। গত ৮-৯ দিন সময় পাওয়াতে জাল টাকা সবাই সরিয়ে বা পুঁতে ফেলেছে।’

ভোটে হেরে ফেরত চাইছেন টাকা : সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের (নান্দাইল, ত্রিশাল, ঈশ্বরগঞ্জ) ওয়ার্ডে প্রার্থী শিরিন আক্তার ২১ লাখ টাকা বিলিয়েছিলেন ভোটের আগে। ২৮০ জন ভোটারকে ৫ হাজার টাকা করে দিয়ে ভোট পেয়েছেন ৮৯টি। এখন তাঁর দাদনে নেওয়া ১১ লাখ টাকায় মাসে সুদ দিতে হবে ৮৮ হাজার টাকা। ওই অবস্থায় তিনি এখন ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাইছেন। অন্যথায় তাঁর ভিটে বিক্রি করতে হবে।

প্রার্থী শিরিন আক্তারের স্বামী মো. সোলায়মান রেক্সিনের ব্যবসা করেন। তিনি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক।

টাকা ফেরত চাওয়ায় গাঙ্গাইল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন, গোলাপ মিয়াসহ তিনজন টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে সোমবার বিকেলে সমকালকে জানান শিরিনের স্বামী মো. সোলায়মান।

তিনি বলেন, টাকা ফেরত না পেলে ৬ শতকের ভিটে হারিয়ে পথে বসতে হবে। তিনি জানান, প্রথমে একজন ভোটারকে তিন হাজার টাকা করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অন্য ভোটাররা ১০ হাজার করে দেওয়ায় তাঁর স্ত্রী ৫ হাজার করে দিতে বাধ্য হন। ময়মনসিংহের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মো. সারোয়ার জাহান বলেন, বিষয়টি তাঁদের নজরে আসেনি। এ ধরনের অভিযোগ এলে রিটার্নিং অফিসার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর আচরণবিধি বলবৎ নেই।

নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহান বলেন, বিষয়টি কাম্য নয়। টাকা দিয়ে ভোট কিনতে গেলেন কেন তিনি? টাকা দিয়ে ভোট কেনা তিনি সমর্থন করেন না। টাকা দেওয়ার পর ফেরত চাওয়া আরও খারাপ।

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি।


বাসাইলে টাকা ফেরত চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস : ভোটে হেরে টাকা ফেরত চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে হেরে বাসাইল উপজেলার সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন- চারজন প্রার্থীর মধ্যে প্রত্যেকেই ৫০ থেকে ৬০ জন ভোটারকে টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৫৫ জন ভোটার তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ভোট পেয়েছেন মাত্র ৭টি। এই হলো ভোটারদের আসল চরিত্র। ভোট আপনি যাঁকে খুশি তাঁকে দেন। এটা আপনাদের অধিকার। তাই বলে টাকা নেবেন চারজনের কাছ থেকে; আর ভোট দেবেন একজনকে! এটা কেমন চরিত্র আপনাদের?

তাঁর এ স্ট্যাটাস মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। যাঁরা টাকা নিয়েছিলেন, সেই ভোটাররা তাঁদের নাম প্রকাশ না করার জন্য তাঁকে অনুরোধ করতে থাকেন। প্রায় বেশিরভাগ ভোটার তাঁদের গ্রহণকৃত টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে খুব ঝামেলার মধ্যে রয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গতকাল সোমবার তাঁর অফিসে ডেকেছিলেন। যা সত্য তা-ই বলে দিয়েছেন।

বাসাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন অন্ধ। কারণ তাদের কিছুই করার ক্ষমতা নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করেছেন। অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি বহু পুরোনো ব্যাপার। সে হয়তো আবেগের বশে স্ট্যাটাস দিয়েছে।


জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি বলেন, টাকা ছড়াছড়ি হলে নির্বাচনী আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। বাসাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুক লাইভে এসে টাকা ফেরতের দাবি : জেলার বাউফল ও দশমিনা সংরক্ষিত আসন থেকে সদস্য প্রার্থী হন চারজন। এর মধ্যে রুবিনা আক্তার পান ৩৬ ভোট। নির্বাচনে হেরে রুবিনা ফেসবুকে লাইভে এসে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চান। কেউ কেউ টাকা ফেরতও দিয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুবিনা আক্তার বলেন- ভোটারদের দুই হাজার করে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তাঁরা অনেকেই আমাকে ভোট দেননি। অনেকেই আমার টাকা ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু এই মেম্বার (বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আনিচুর রহমান) টাকা ফেরত না দিয়ে আমাকে অপমান করছেন।

মো. আনিচুর রহমান বলেন, চা-পান ও রিকশা ভাড়া হিসেবে প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা রুবিনা দিয়েছিলেন। কিন্তু অন্য মেম্বাররা ভোট না দিলে আমি কী করব?

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান জানান, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে তদন্তের জন্য চিঠি দিয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি কেন- এমন প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এটা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করুন।’



বিষয়: নির্বাচন


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top