বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড

১১ দিন পর বৃষ্টির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৪ ২১:৩৯; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০৮:৩২

- ছবি - ইন্টারনেট

রাজধানী বেইলি রোডের বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডে নিহত বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) মরদেহ ১১ দিন পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (১১মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।এ সময় বৃষ্টির বাবা শাহাবুল আলম (সবুজ খান) মরদেহ বুঝে নেন।

সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তার মা-বাবার সঙ্গে ডিএনএর নমুনা মিলে যাওয়ার কারণে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বৃষ্টির মরদেহ তার পরিবারের হস্তান্তর করা হয়েছে।

জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ঘটনার পরদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তার বাবা সবুজ খান। তবে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেন, মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী।মেয়েটি নিয়মিত মন্দিরে আসতেন। উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। এরপর বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মর্গ থেকে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

তিনি বলেন, গতরাতে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আবারো লিখিতভাবে আবেদন করেন, আমার কোনো দাবি নেই, ভুল বোঝার কারণে হয়েছে। মরদেহ প্রকৃত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক।

বৃষ্টির বাবা জানান , বৃষ্টি মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বৃষ্টি খাতুনের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা উপজেলার বনগ্রামে। সেখানে ব্র্যাক স্কুল থেকে পাস করে হাইস্কুলে ভর্তি হন তিনি। গ্রাম থেকে এসএসসি ও কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকায় ইডেন কলেজে ভর্তি হন বৃষ্টি।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top