কিলোমিটারে ৩ পয়সা ভাড়া কমানোর সুপারিশ
রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪২; আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ০০:১৭
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে ধাপে ধাপে জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে দুদফা তেলের দাম কমানো হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে পরিবহন ভাড়া কমানোর দাবি উঠেছে সব পক্ষ থেকেই। এমন বাস্তবতায় জ্বালানি তেলের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমার প্রেক্ষিতে কিলোমিটার প্রতি বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুপারিশ করেছে বাস ভাড়া পুনঃনির্ধারণী কমিটি।
সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভাড়া কমানোর এ প্রস্তাব অনুমোদন করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার কালবেলাকে বলেন, ভাড়া কমানোর সুপারিশ আমরা এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।
বর্তমানে দেশের দূরপাল্লার রুটের জন্য সরকার নির্ধারিত বাস ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ১৫ পয়সা। এ ভাড়া কমিয়ে কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ১২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ৪৫ পয়সা। এটা কমিয়ে কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ৪২ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
একইভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে মিনিবাসের নির্ধারিত ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ৩৫ পয়সা। এই হার কমিয়ে কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বাস ভাড়া কমিটি।
এদিকে ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে বাসে যখন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে, এমন সময়ে দফায় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস ভাড়া কমানোর পরিবর্তে প্রতিকিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা বাসের ভাড়া কমিয়ে সরকার দেশের যাত্রীসাধারণের সঙ্গে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রী অধিকার রক্ষায় সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় দেশের যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়।
এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী অধিকাংশ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এমন সময়ে ২ দফা জ্বালানি তেলের দাম কমানো পর সরকার আজ বাসের ভাড়া প্রতিকিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমানো ঘোষণা দিয়েছে। যা কোনোভাবেই কার্যকর যোগ্য নয়।
ইতোপূর্বে সরকার ২০১১ সালে বাসের ভাড়া ২ পয়সা কমিয়েছিল। এর সুফল যাত্রী সাধারণ পায়নি। এরপর ২০১৬ সালে জ্বালানি তেলে মূল্য কমানোর কারণে বাসের ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল থেকেও দেশের যাত্রীসাধারণ বঞ্চিত হয়েছে। ঠিক একই পন্থায় বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এবারো বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল কোনো পরিবহনে মিলবে না। এতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর সুফল কেবলমাত্র বাস ও অন্যান্য পরিবহনের মালিকরা ভোগ করলেও দেশের জনগণ বঞ্চিত হবে।
বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে উল্লেখযোগ্য হারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দেশের সাধারণ নাগরিকদের সামর্থ্য বিবেচনায় গণপরিবহন ভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: