প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হচ্ছেন নাঈমুল ইসলাম খান

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৪ ২৩:৫৭; আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:০৬

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হচ্ছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের এমিরেটাস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। সচিব পদমর্যাদায় তাকে এ পদে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। তার নিয়োগের সারসংক্ষেপ এরইমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

চলতি বছরের ১০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলাল মারা যান। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে পদটি শূন্য ছিল। প্রথিতযশা সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানকে প্রেস সচিব পদে নিয়োগ দিয়ে পদটি পূরণ করতে চান প্রধানমন্ত্রী। দু-একদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ধারণা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল পর্যন্ত অথবা প্রধানমন্ত্রী যতদিন ইচ্ছাপোষণ করবেন ততদিন নাইমুল ইসলাম প্রেস সচিব পদে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।

আমাদের নতুন সময় পত্রিকার এমেরিটাস সম্পাদক এবং আমাদের অর্থনীতির সাবেক সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান দৈনিক আজকের কাগজ ও ভোরের কাগজের জন্য দেশের সাংবাদিকতায় অমর হয়ে থাকবেন।

বাংলাদেশে নতুন ধারার সাংবাদিকতা শুরুর ক্ষেত্রে তাকে পথিকৃৎ মনে করা হয়। বিশেষ করে ইত্তেফাক ও সংবাদ যুগের পর আজকের কাগজের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার যে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল, সেই বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাঈমুল ইসলাম খান। তিনি ভোরের কাগজের সম্পাদক থেকে পদত্যাগ করার পর আমাদের সময় পত্রিকাটি চালু করেন। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পত্রিকাটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে তিনি আমাদের নতুন সময় এবং আমাদের অর্থনীতি নামে দুটি পত্রিকা প্রকাশ করছেন।

বাংলাদেশের সংবাদপত্রে দুটি জনপ্রিয় ধারার শুরুটা নাঈমুল ইসলাম খানের হাত ধরে। নাঈমুল ইসলাম খানের আজকের কাগজকে অনুসরণ করে আজ বাংলাদেশে অনেক দৈনিক পত্রিকা। আমাদের সময়ের ঘরানারও একাধিক দৈনিক আছে বাজারে।

নাঈমুল ইসলাম খান ১৯৫৮ সালের ২১ জানুয়ারি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম খান ছিলেন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। মা নূরুন নাহার খানের ৬ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তিনি সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। টেলিভিশনে টকশোর আলোচক হিসেবে দেশব্যাপী তার সুনাম রয়েছে।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top