ঢাবিতে পিএইচডি থিসিস সংরক্ষণ হয় কীভাবে, জানতে চান হাইকোর্ট

রাজটাইমস ডেক্স | প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী ২০২১ ১৫:৩৫; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১৫:০৮

 ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা মূল্যায়নে কোনো সফটওয়ার কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কিনা, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিঙ্কন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও আবেদনকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিঙ্কন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঢাবি কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে আদালতকে জানিয়েছে।

আদালত ঢাবি কর্তৃপক্ষকে আগামী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। তবে ইউজিসি প্রতিবেদন দিয়েছেন। সে প্রতিবেদন দেখে আদালত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পিএইচডি গবেষণা কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা মূল্যায়নে কোনো সফটওয়ার কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কিনা-তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইউজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ স্বীয় আইন, বিধি, প্রবিধি, সংবিধি ও নীতিমালা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এমফিল ও পিএইচডিসহ উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। এছাড়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়ের ব্যপারে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে সরকার অনুমোদিত ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কমিশন থেকে অদ্যাবধি কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি গ্রোগ্রাম পরিচালনার অনুমোদন দেয়া হয়নি।
গত বছর জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর যুক্ত করে পিএইচডি থিসিস অনুমোদনের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র (এনওসি) নেয়া বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।

পরে রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত বছর ৪ই ফেব্রুয়ারি রুলসহ আদেশ দেন। শিক্ষাসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি প্রদানের ক্ষেত্রে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নীতিমালা অনুসরণ করা হয় কিনা তা তিন মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়। সে আদেশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মঞ্জুরি কমিশন গতকাল একটি প্রতিবেদন দেয়। সে প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দিল ।



বিষয়: শিক্ষা


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top