থমকে আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২০ ১৭:৪৮; আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২০ ১৭:৫৭

ফাইল ছবি

দেখতে দেখতে ৩টি বছর পার হয়ে গেল দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় গ্রহণের। থমকে আছে বাংলাদেম সরকারের তাদের পুনর্বাসন করার প্রক্রিয়া।

তবে করোনা মহামারী শুরু হওয়ায় সরকারের এমন উদ্যোগ থমকে আছে বলে মতামত দিয়েছেন সেবা সংস্থাগুলো। অন্যদিকে, তাদের সাথে তৈরী হয়নি কোন আলোচনার ক্ষেত্র।

তবে কবে নাগাদ এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে তা জানাতে পারে নি কোন দায়িত্বশীল সূত্র।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন দিবসে শরনার্থী এলাকায় তাদের কোন কর্মকান্ড চোখে পড়েনি জানান উখিয়া থানার এসআই কামরুল হাসান। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় শুরু করেন রোহিঙ্গারা। গত ৩ বছরে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি আসে নি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ থেকে। এই কমিটি কয়েক দফা বৈঠকের পরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অগ্রগামী হয়নি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সে অনুযায়ী একই বছর ১৯ ডিসেম্বর মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এলে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপটি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।

মিয়ানমারকে দেয়া তালিকায় তাদের প্রত্যাবাসনের এখনো কোন পদক্ষেপ দেখা যায় নি। প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারকে যাচাই-বাছাই শেষে চার দফায় এ পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ লোকের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ১০ হাজার রোহিঙ্গার নাম যাচাই-বাছাই করেছে মিয়ানমার। সর্বশেষ চলতি বছর ১৮ মার্চ মিয়ানমারের কাছে চার লাখ ৯২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দফায় দফায় মিয়ানমারকে তালিকা দেয়া হলেও ডিমে তেতলা গতিতেই কাজ করছে দেশটি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে এ তালিকা দ্রুত যাচাইয়ের জন্য তাগিদ দেওয়া হলেও তারা করেনি। চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু করেছে মিয়ানমার। আরাকান বিদ্রোহীদের দমনে এই অভিযান পরিচালনা করছে দেশটি। বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে আরাকানের ১০ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।  

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোন রোহিঙ্গাকে জোর করে পাঠানো হবে না বলে জানান কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। প্রক্রিয়া দ্রুত শুরুর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

  • খবর-বাংলাদেশ প্রতিদিন
    এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top