শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ক্যাপ্টেন নওশাদকে শেষ বিদায়

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:১৮; আপডেট: ১০ মে ২০২৪ ১৬:৩৯

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের কফিন কাঁধে সহকর্মীরা: ছবি সংগৃহিত

মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। ফুলেল শ্রদ্ধায় আর ভালোবাসায় বিদায় জানানো হলো তাকে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমকে। এর আগে দুপুর ২টায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তর বলাকায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় অংশ নেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এছাড়া বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ তার নিকটাত্মীয় ও বন্ধুরা জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন বলাকা মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা কাইয়ুম। এর আগে তার লাশ ভারতের নাগপুর থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে (বিজি-০২৬) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। গত সোমবার নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের।

এর আগে ২৭শে আগস্ট সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন।

সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির এই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন।

ফ্লাইটটি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে রোববার তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) কোমায় নেয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ৩০শে আগস্ট বেলা ১১টার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ। নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে ২৭শে আগস্ট নিরাপদে ছিলেন ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসা ১২৪ জন যাত্রী।



বিষয়: মৃত্যু


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top