আইজিপির বোট ক্লাবের সভাপতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এমপি হারুন

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:০০; আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:০১

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সরকারের অনুমতি নিয়ে রাজধানীর আশুলিয়ায় অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

আজ শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংসদের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে বোটক্লাবসহ তিনটি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন তিনি।

বোট ক্লাবের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদের গত অধিবেশনে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, নদীর তীরবর্তী জায়গা বোট ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে কি না। বোটক্লাবে নিয়মিত মদ্যপান করা হয়, তাস খেলা হয়, জুয়া খেলা হয়। এরকম একটি ক্লাবে পুলিশের প্রধান আইজিপি সভাপতি কোনো আইনে থাকতে পারেন কি না, এ বিষয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করেছিলেন।

হারুন বলনে, ‘আমার জানা নাই, ৫০ বছরের ইতিহাসে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরণের কোনো ক্লাবে পুলিশের প্রধান সভাপতির দায়িত্ব বা এই রকম ক্লাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। এতে করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বেপরোয়া যেসব কর্মকাণ্ড, মাদক কারবারের সঙ্গে তারাও জড়িয়ে পড়েছে।’

বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গ্রেপ্তার ও জামিনের ঘটনাও বেশ নাড়া দিয়েছে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পরীমনি গণমাধ্যমে বলেছেন, কত নাটক করে তাঁকে ধরে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছিল, শুধু অফিসে নেওয়া হবে আর কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে। কিন্তু তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন বলেন, পরীমনির ঘটনা তদন্তের তদারক কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়েছিল র‌্যাব। র‌্যাব নিজেরা এই ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছিল। কারণ, এর পেছনে অনেক বড় শক্তি জড়িত। এদের যারা ব্যবহার করছে, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।

পরীমনিকে গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিএনপির এই সাংসদ। তিনি বলেন, পরীমনির ঘটনায় হাইকোর্ট পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আদালত বলেছেন, পরীমনি একজন নারী, অসুস্থ, চিত্রজগতের কর্মী—এ জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে। এটা কোনো কথা হতে পারে? তাঁকে পরপর কেন তিন দিন রিমান্ডে নেওয়া হলো, এটি নিয়ে হাইকোর্ট জজকোর্টের নথি তলব করেছেন। এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে ‘পারসেপশনটা’ ভিন্ন হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, র‌্যাব যে পরীমনিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছিল, গ্রেপ্তার করেছিল, তাঁর বাড়িতে যে মিনি বার, এগুলো কি অসত্য?

মোসারাত জাহানের (মুনিয়া) আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলা তদন্তের জন্য নতুন করে র‌্যাবকে দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করেন হারুন। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে মুনিয়া নামে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছিল। আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলার পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। বসুন্ধরার এমডির সঙ্গে মুনিয়ার ফোনালাপ, তার সঙ্গে ছবিও গণমাধ্যমে এসেছে।

তিনি জানতে চান, এই ঘটনার তদন্তভার র‌্যাবকে দেওয়া হবে কি না। যদি না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি মনে করবেন এসব অপরাধে যারা জড়িত, সরকার তাদের চিহ্নিত করতে চায় না, আড়াল করতে চায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া দরকার। অপরাধগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা দরকার।

সূত্র: ইত্তেফাক/এএস

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top