সড়ক দুর্ঘটনায় রাজধানীতে ১১ মাসে নিহত ১১৯ জন

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২১ ০৭:২৭; আপডেট: ১১ মে ২০২৪ ০০:০২

ফাইল ছবি

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অপ্রতুল সড়ক ও দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ ১২ কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে। সংগঠনটি দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ঢাকার জনসংখ্যা কমানো এবং খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শাখা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে চালু করাসহ ৮ দফা সুপারিশ করেছে।

সংগঠনটি বলছে, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে রাত, সকাল ও বিকেলে। কম ঘটে দুপুর ও সন্ধ্যায়। ১১৪টি দুর্ঘটনার মধ্যে ৩৯টি ঘটেছে রাতে, ২৩টি ভোরে, ২১টি সকালে ও বিকেলে ১৬টি। সন্ধ্যায় ঘটেছে ৪টি ও দুপুরে ১১টি। দুর্ঘটনাগুলোতে ১৭২টি যানবাহনের সম্পৃক্ততা ছিল। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে বাসের কারণে ৪২টি, এরপর ট্রাক ৩৭টি, মোটরসাইকেল ৩৩টি, পিকআপ ১৫টি, অটোরিকশা ৮টি, প্রাইভেট কার ৭টি, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ৪টি, লেগুনা ৪টি, অটোভ্যান ৪টি, লরি ২টি, অন্যান্য যানবাহন ১৬টি।

দুর্ঘটনার কারণ

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১১টি কারণে রাজধানীর সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চালকের বেপরোয়া গতি, নির্দিষ্ট স্থানে বাস বে ও স্টপেজ না থাকা, বাইপাস না থাকায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রাজধানীর সড়কে পণ্যবাহী ভারী যান চলাচল, একই সড়কে অযান্ত্রিক-যান্ত্রিক, স্বল্প ও দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল, সচেতনতার অভাব, যথাস্থানে পদচারী–সেতু ও আন্ডারপাস না থাকা, এগুলো থাকলেও ব্যবহার উপযোগী না হওয়া ও ফুটপাত হকারদের দখলে থাকা। এ ছাড়া রাজধানীর সড়কে অতিরিক্ত মোটরসাইকেল, যানজট এবং উড়ালসড়কগুলোতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

দুর্ঘটনা বন্ধে সুপারিশ

রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে মানুষের ঢাকামুখী হওয়া কমানোর সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। এ জন্য জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রস্তাব করেছে তারা। সামর্থ্য বিবেচনা করে রাজধানীতে পৃথক গণপরিবহনব্যবস্থা চালু করে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রয়োজনে গণপরিবহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করে সেটা কার্যকর করতে হবে। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি বন্ধ করা, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করারও সুপারিশ করেছে ‘রোড সেফটি ফাউন্ডেশন’।

 

 




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top