ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এর সমীক্ষা
ইন্টারনেট ব্যবহার করে না ৫৪ শতাংশ গ্রামীন পরিবার
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:০৯; আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:২৩
-2020-09-14-12-09-22.jpg)
দেশে বসবাসকারী নাগরিকদের অধিকাংশই গ্রামীণ পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে শহর-গ্রাম সবখানেই ইন্টারনেট সুবিধার কথা থাকলেও বাস্তবে এর চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন।
বর্তমানে দেশে ৫৪ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা নেই। গ্রামীণ পরিবারগুলোর ৫৯ শতাংশের স্মার্টফোন নেই এবং ৪৯ শতাংশের কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ নেই। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটি রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাদের আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল লিটারেসি’ শীর্ষক একটি অনলাইন সেমিনারে এ সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরেন।
দেশের গ্রামীণ পর্যায়ে পরিবারগুলোর ডিজিটাল সাক্ষরতার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে ও ডিজিটাল লিটারেসি ইনডেক্স (ডিএলআই) তৈরির জন্য সারাদেশে ৬ হাজার ৫০০ গ্রামীণ পরিবারের ওপর এ সমীক্ষাটি চালানো হয়।
তবে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের গ্রামীণ পরিবারগুলোতে ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের তুলনায় ডিজিটাল সুবিধা, ডিজিটাল দক্ষতা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতা পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমনটাই উঠে আসে সমীক্ষায়।
অনলাইন উপার্জনে জড়িত নেই জরিপ করা ৬,৫০০ পরিবারের মধ্যে এক শতাংশেরও কম পরিবার।
ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহারে ব্যাপক প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে পরিবারের আয়। আয় অনুসারে সে পরিবারের ডিজিটাল সুবিধা, দক্ষতা এবং সাক্ষরতার সম্ভাব্যতা নিশ্চিত হচ্ছে।
সমীক্ষাটি পরিচালনায় পরিবারগুলো চারভাগে ভাগ করা হয়েছে। ডিজিটাল প্রবেশাধিকারের মতো, তাদের ডিজিটাল দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ভাগ করা হয়েছে। গ্রামীণ পরিবারের দুই-তৃতীয়াংশের মধ্যে ‘কম দক্ষতা’ রয়েছে, ১৬ শতাংশ পরিবারের মধ্যে ‘কোনো দক্ষতা নেই’, ১৫ শতাংশের মধ্যে ‘মৌলিক দক্ষতা’ এবং ৮ শতাংশ পরিবারের মধ্যে মৌলিকের চেয়ে বেশি’ দক্ষতা রয়েছে।
জরিপে আর ও উঠে এসেছে, পরিবার প্রধানের লিঙ্গগত পার্থক্য ডিজিটাল প্রবেশাধিকার ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব না ফেললেও নারী-পরিচালিত পরিবারগুলোতে আরও ভাল ডিজিটাল সাক্ষরতার সম্ভাবনা রয়েছে।
শহর-গ্রামের এই বৈষম্যের অবসান চান বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের পরিবারগুলোর মধ্যে বিরাজমান ‘ডিজিটাল বিভাজন’ অব্যাহত থাকার কারণে দেশের ই-গভর্নেন্স সিস্টেমের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে। খবর-ইউএনবি
- এসএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: