স্মার্টফোনের নকল চার্জার চেনার উপায়

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:০৮; আপডেট: ৭ মে ২০২৪ ১৬:৪৮

ছবি: প্রতীকী

মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার পর পোড়া গন্ধ পাচ্ছেন? সতর্ক হয়ে যান। আপনার চার্জারে সমস্যা আছে। চার্জারটি ভুয়া নয় তো? এমন ঝামেলা এড়াতে কেনার আগেই এটি পরখ করে নিন।

মনে রাখবেন, অমসৃণ চার্জার মানেই নকল। এ রকম ভুয়া চার্জারের কারণে স্মার্টফোন বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই চার্জার কেনার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। দেখবেন গাঠনিক কাঠামো কেমন।

ভুয়া চার্জার অনেক সময় অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এ থেকে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনে চার্জ না দিতেই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ভুয়া চার্জারে স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা ও চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়।

অনেক সময় দোকানদার বা অনলাইন বিক্রেতারা নানা প্রলোভনে ভুয়া চার্জার বিক্রির চেষ্টা করেন। কী দেখে ভুয়া চার্জার চিনবেন? জেনে নিন কয়েকটি উপায়:

আইফোন
আইফোনের সঙ্গে অ্যাপল একটি চার্জার দিয়েই দেয়। তবে বাজারেও আইফোনের অসংখ্য চার্জার পাওয়া যাবে। তবে তার অধিকাংশই নকল। আইফোনের আসল চার্জারে ‘ডিজাইনড বায় অ্যাপল ইন ক্যালিফোর্নিয়া’ লেখা থাকবে। অ্যাপল লোগোটি নকল চার্জারে গাঢ় কালো রঙের দেখাবে।

শাওমি
শাওমির নকল চার্জার চিনতে হলে কেবলের দৈর্ঘ্য মেপে নিন। যদি কেবলটি লম্বায় ১২০ সেন্টিমিটারের কম হয় বা অ্যাডাপ্টর বড় হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে চার্জারটি নকল।

গুগল পিক্সেল
অন্যান্য সংস্থার মতো গুগল পিক্সেলেরও নকল চার্জার পাবেন বাজারে। তবে এর আসল নকল বুঝতে পারবেন খুব সহজেই। গুগল সব সময় পিক্সেল ফোনের সঙ্গে ফাস্ট চার্জার সরবরাহ করে থাকে। যদি পিক্সেল ফোনটি চার্জ হতে অনেক সময় নেয়, তাহলে বুঝতে হবে চার্জারটি নকল।

ওয়ানপ্লাস
ওয়ানপ্লাস ফোনের অরিজিনাল ড্যাশ চার্জার চেনা খুবই সহজ। যদি চার্জিং এর সময় চার্জারের আলো ব্লিঙ্ক না করে তবে তা নকল চার্জার। আসল চার্জারে ফোন চার্জিং এর সময় এই আলো ব্লিঙ্ক করে।

হুয়াওয়ে
বাজার হুয়াওয়ের নকল চার্জারও পাবেন। হুয়াওয়ের আসল ও নকল চার্জার চিনতে বারকোডের সাহায্য নিন। হুয়াওয়ে চার্জারের বারকোড তথ্যের সঙ্গে অ্যাডাপ্টরের বারকোড তথ্যের মিল পাওয়া গেলে বুঝতে হবে চার্জারটি আসল।

স্যামসাং
বাজারে স্যামসাং ফোনের উপযোগী বলে তৈরি করা নানা ভুয়া চার্জার পাবেন। এ ধরনের চার্জার চিনতে এর ওপরের লেখাগুলো পড়ুন। স্যামসাংয়ের আসল ও নকল চার্জারের পার্থক্য খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। চার্জারের ওপর প্রিন্ট করা লেখা দেখে বুঝতে হবে। যদি চার্জারের ওপর ‘A+’ ও ‘মেড ইন চায়না’ লেখা থাকে, তবে সেটি ভুয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

অন্যান্য
চার্জার সকেটে ঢোকানোর পর যদি ঠিকভাবে খাপ না খায়, ধরে নিতে হবে পিনগুলো ভুল আকারে বানানো। কেনার আগে চার্জারের গায়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের নাম বা লোগো, মডেল, ব্যাচ নম্বর যাচাই করতে হবে। নিরাপদে চার্জার ব্যবহারের নির্দেশনা থাকতে হবে। খুব কাছ থেকে চার্জারের পিনগুলো লক্ষ্য করলেই আসল-নকলের তফাত বোঝা যাবে। নকল চার্জার দিয়ে দিনে দুই-তিনবার চার্জ দিলেই খুব দ্রুত তা গরম হয়ে যায়। আসল চার্জার দ্রুত গরম হয় না।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top