শিক্ষক লাঞ্চিত ও অরুণ বসাকের জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২ ০০:০১; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ১১:০৩

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাক স্যারের জমি দখল, কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যা ও কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।

রাবি প্রতিনিধি: ইমেরিটাস অধ্যাপক আরুণ কুমার বসাক স্যারের জমি দখল, কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যা ও কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক সালেহ্ আহমেদ নকিব, অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, অধ্যাপক ইফতেখার আলম মাসুদ, অধ্যাপক রহমান রাজুসহ বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

আনন্দ কুমার সাহা বলেন, শুধু একবার না এরকম প্রতি বছরেই হয়তো সিনেট ভবনের সামনে, প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচিতে আমরা অংশগ্রহণ করি। আমরা কি শুধু এই কাজটি করে যাবো? এর আগে স্বপন কুমার বিশ্বাস, হৃদয় মন্ডল, মহরী সাহেব যাদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও মানুষের মানবিকতার কোন উন্নয়ন ঘটেনি। আমাদের প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন যারাই এধরনের কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তাদের দিষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সালেহ্ আহমেদ নকিব বলেন, অরুণ কুমার বসাক আমার শেণি কক্ষের শিক্ষক। যে উদ্দ্যেগ জনক ঘটনার জন্য আজকে আমরা এখানে দাড়িয়েছি। আমরা খুব বড় রকমের এক ব্যর্থতার মধ্যে রয়েছি যার ফলে এই রকমের ঘটনা গুলো ঘটেছে। আমারা প্রচুর উন্নয়নের কথা বলি কিন্তু মানবিক উন্নয়নের কথা বলি না। একটা কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে মানবিক উন্নয়ন ছাড়া সকল ধরনের উন্নয়ন এক ধরনের অর্থহীন উন্নয়ন। স্যার এই সমস্যা আজকের না অনেক সরকার এসেছে কিন্তু স্যার এর এই সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। আমরা এই হয়রানির নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানাই।

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রনজু হাসান বলেন, এসব শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন নয়। এর সাথে জড়িত সম্পদ ও অর্থের হিসাব। একজন শিক্ষককে অসম্মান করা গোটা বাংলাদেশ বা গোটা সমাজকে অসম্মান করা।

এছাড়াও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন বলেন, "আজকে একজন বিজ্ঞান শিক্ষক ক্লাসে তার শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে পারেন না। তাকে গলায় জুতোর মালা পড়ানো হয়। আজকে আমরা রাজপথে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছি।"

উল্লেখ্য যে, গত ১৮ বছর ধরে এই শিক্ষাবিদকে হয়রানি করে আসছেন ইয়াহিয়া ফেরদৈৗস।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top