রাবি অফিসার সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, আবারও নির্বাচন স্থগিতের শঙ্কা

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:১০; আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৬:০২

নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসার সমিতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর। তবে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও আবারও নির্বাচন স্থগিত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির ড. গোলাম মোস্তফা-কাওসার-চঞ্চল পরিষদ।

শনিবার বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ আশংকার কথা ব্যক্ত করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী কামারুজ্জামান চঞ্চল বলেন, প্রতি দুই বছর পর পর রাবি অফিসার সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল সমিতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মহামারী করোনার কারণে নির্বাচন কমিশনার উক্ত তারিখে নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করেন। এরপর ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করেন। তবে নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হলে কর্মকর্তারা রাবি উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করলে উপাচার্য নির্বাচন কমিশনকে দ্রত নির্বাচন সম্মন্ন করার মৌখিক নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনার তিন প্যানেলের সভাপতি-সম্পাদকের সাথে সভার আহবান করলে রাহী-রাব্বেল পরিষদ অনুপস্থিত থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে চঞ্চল আরো বলেন, দীর্ঘদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় অফিসার সমিতির সভাপতি বিদেশ থেকে এসে কর্মস্থলে যোগদান করলে সাধারণ কর্মকর্তারা নির্বাচনের জন্য তার উপর চাপ প্রয়োগ করেন। এবং ৪৫০ কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত আবেদন সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত আবেদন আমলে না নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ সাধারণ সভার আয়োজন করে তারা। উক্ত সভায় অধিকাংশ কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকা এবং সমিতির গঠনতন্ত্র অমান্য ও সাধারণ সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে সাধারণ সম্পাদক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষনা করেন। এসময় সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা প্রতিবাদ জানায়। এক পর্যায়ে ঝামেলা তৈরী হলে সমিতির প্রধান পৃষ্টপোষক ও রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম রাহী-রাব্বেল পরিষদকে সমঝোতার জন্য অন্য দুই প্যানেলের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখান করে পূর্ব ঘোষিত নির্বাচন কমিশনারকে দিয়েই ৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে।

এসময় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে চঞ্চল বলেন, বর্তমান সভাপতি-সম্পাদকের একনায়কতন্ত্রের কারনে কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে ক্ষতি ও সামাজিক মর্যাদাহানীর সম্মুখিত হচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তোরনে আমার নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করলেও সাধারণ কর্মকর্তাদের স্বার্থে এবং স্বেচ্ছাচারি অযোগ্য নেতৃত্বের হাত থেকে অফিসারদের অধিকার রক্ষায় নির্বাচনে অংশ নেব। কিন্তু রাহী-রাব্বেল পরিষদ এর আগে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর যেভাবে পুতুল নির্বাচন কমিশনার বানিয়ে নির্বাচন স্থগিত করেছিল একই কায়দায় আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে বলে আমরা আশংকার করছি। দীর্ঘসূত্রিতার পরে কর্মকর্তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা সুষ্ঠু ও নিরপ্রেক্ষ নির্বাচনের আশা করছি। নির্বাচন বানচাল যাতে না হয় এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাহায্য কামনা করেন তারা।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সভাপতি ড. মো. গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ গোলাম কাওসার, ক্রীড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক রাশেদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top