বিশ্ব আরবী ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাবিতে আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আসর
রাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:২০; আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৪১

বিশ্ব আরবী ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াতে আরবী একাডেমি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
এসময় আরবী একাডেমির নির্বাহী পরিচালক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের সভাপতিত্বে এবং হাফিজুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় এ সভায় অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক. ড. মোহা. সাখাওয়াত হোসেন, আরবী বিভাগের অধ্যাপক মো. মতিউর রহমান-২, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খানম, উর্দু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.সামিউল ইসলাম এবং আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামারুজ্জামান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, আরবী সাহিত্য ও শিল্পকলার ভাষা হিসেবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধারাবাহিক অবদান রেখে আসছে। এ ভাষায় বর্তমান বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য রচিত হয়ে থাকে। ২২টি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ভাষা আরবী। আরবীর সাথে এ জনপদের মানুষের সম্পর্ক অতি নিবিড়। বর্তমান সময়ের চাহিদা পূরণ করে এ সম্পর্ককে আরও বহুমাত্রিক পর্যায়ে নিতে আরবী শিক্ষিতদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরবী কবিতা ও শিল্পকলার দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুমাইয়া খানম বলে, ভাষা আমাদের অনুভূতিকে প্রচার করার বাহন। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। তাই আমরা এ ভাষায় কথা বলে থাকি। ধর্মীয় দিক থেকে আরবি আমাদের আত্মায়, রক্তে ও সত্ত্বার মধ্যে রয়েছে। এভাবে বাংলাও আমাদের আত্মায় ও রক্তে মিশে আছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের ইংরেজি ভাষাও শিখতে হবে। কারণ ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায় সকল ক্ষেত্রেই আমাদের ইংরেজি প্রয়োজন।
অনেকেই আরবিতে পড়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু আরবিতে নয় যারা বাংলায় পড়াশোনা করেন তারাও অনেক সময় হীনম্মন্যতায় ভোগেন। কিন্তু এমন হীনম্মন্যতায় ভোগার কোনো কারণ নেই। আমি ভাষার মাধ্যমে কী বুঝাচ্ছি সেটাই মূল বিষয়। সেটা যেকোনো ভাষায় হোক।
আরবী বিভাগের অধ্যাপক মো. মতিউর রহমান-২ বলেন, আমরা আরবী নিয়ে অনেকে হীনম্মন্যতায় ভুগি। অনেকে ধর্মীয় ফ্লেভার দিয়ে ঢাকতে চায়। যদি আরবী নিয়ে মনের মধ্যে দুর্বলতা কাজ করে তাহলে তা আমাদের। এজন্য আমরা এ বিভাগে পড়াশোনা করলেও আরবিকে মর্যাদা দিতে পারছি না। দেশের বহু মানুষ যারা মধ্যপ্রাচ্যে চাকরি বা কাজ করতে যাচ্ছেন তাদের আরবী ভাষার উপর দক্ষতা থাকলে আরও ভালো ফলাফল পাবে। সেসব মানুষের কাছেও আরবীকে পৌঁছে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরবী কবিতা আবৃত্তি করেন অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, ড. সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান, ড. সামিউল ইসলাম, ড. মো. হাবিবুল্লাহ, সাখাওয়াত হোসেন, মাহাদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, এবং জেসমিন খাতুনসহ আরো অনেকে। আরবি ও বাংলা গান পরিবেশন করেন, হাফিজুর রহমান বাবু, জাকিরুল ইসলাম, জামিলুর রহমান, আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদকে সভাপতি করে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এরাবিক ক্লাব প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হয়। আরবী ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশ সাধনের লক্ষ্য নিয়ে এ ক্লাব প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: