বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর ইঙ্গিত উপাচার্যের

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫৬; আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে বুয়েটে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি কথা বলেন।

উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, রাজনীতি না করলে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আসবে না। রাজনীতি করার অধিকার সবারই আছে। আন্দোলন ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সামগ্রিক বিষয়ে সিদ্ধান্তে যাবে বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বিবদ্যালয়টিতে বন্ধ করা হয় ছাত্র রাজনীতি।

এরই মধ্যে, গত ২৭ মার্চ রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বিশাল বহর নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার প্রেক্ষিতে, ক্যাম্পাসে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়া ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন তারা। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ইমতিয়াজ রাব্বিকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আলটিমেটাম দেন।

এ প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে বুয়েট উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগকে সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল, তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকার কথা জানানো হয়।

এদিকে, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফেরাতে আজ রোববার (৩১ মার্চ) সকালে শহিদ মিনারে ছাত্রলীগের সমাবেশ করে। এরপর দুপুরের দিকে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে বুয়েটে প্রবেশ করেছেন সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।

কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে বুয়েট শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করেন ছাত্রলীগের শীর্ষ এই দুই নেতা। এরপর পরই তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে দেখা যায়। এসময় যদিও বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শুধু তাই নয়, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top