নতুন কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন কোটা আন্দোলনকারীরা

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৪ ২২:০১; আপডেট: ৮ জুলাই ২০২৪ ২২:৩২

ছবি: সংগৃহিত

এক দফা দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। পরে তারা শাহবাগ ত্যাগ করেন।

আন্দোলনকারীরা দাবি মানতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। না হলে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাস্তা ব্লকেডের আওতামুক্ত থাকবে। বুধবার ৬৪ জেলায় কঠোর কর্মসূচির প্রস্তুতির জন্য মঙ্গলবার সারাদেশের প্রতিনিধি ঠিক এবং অনলাইনে-অফলাইনে গণসংযোগ করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে অনলাইন ব্রিফিংয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ধর্মঘট ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে নাহিদ বলেন, ‘আমরা হুট করে আসিনি, আমরা জুন থেকেই আন্দোলনের সাথে আছি। সরকার আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে, তাদের বক্তব্য আমাদের হতাশ করছে। এতদিন আমরা অর্ধবেলা ব্লকেড কর্মসূচি করেছি। আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার সারাদেশে সর্বাত্মক অনলাইন এবং অফলাইন গণসংযোগ করব এবং বুধবার থেকে বৃহত্তর ব্লকেডের কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ও সোনার বাংলাদেশ দেখতে চাইলে সেটি কোটাধারীদের দিয়ে সম্ভব নয়। দেশকে মেধাবীদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। আজকে পুরো ঢাকা শহর ব্লকেড হয়েছে। প্রায় ৪০টি জেলায় যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে ৬৪ জেলা ব্লকেড কীভাবে করতে হয় তা ছাত্র সমাজ জানে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা তিন দিনের আলটিমেটাম দিতে চাই, আমাদের যে পরিপত্রটি ছিল তা বাতিলের জন্য যা ব্যবস্থা নেওয়ার আপনারা নিন। এরপর আমাদের এক দফা দাবি আপনারা মেনে নিন। নয়তো ছাত্র সমাজের যা করার সেটা তারা দেখিয়ে দেবে।

অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আজকে মন্ত্রী বলেছেন হাইকোর্টের রায়ের ওপর তাদের কথা নেই। হাইকোর্টের রায়ই নাকি চূড়ান্ত। আমরা এমন রায় মানি না, এমন বক্তব্যকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে এই রায় বর্জন করে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই দাবি আদায় করে নেবে।

‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে বিকেল ৪টা থেকে শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন কোটাবিরোধীরা। এতে রাজধানী স্থবির হয়ে যায়। নগরীতে দেখা দেয় প্রচণ্ড যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top