হলের পরিস্থিতি জানতে এসে আটক ছাত্রলীগ কর্মী; রুমে মিললো মদের বোতল
রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৮; আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪ ২১:১৪

পরিস্থিতি জানতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে আসলে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করেন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় গাছে বেঁধে তাকে জিজ্ঞেসবাদ করা হয়। তার কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি চালালে চারটি বিদেশী মদের বোতল পাওয়া যায়।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর ৩টায় হলের ভিতরে সন্দেহ জনক মনে হলে আটক করেন তারা। এসময় ছাত্রলীগের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী হলেন আল-আমিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। এছাড়াও শহীদ হবিবুর রহমান হলের ৩য় ব্লকের ৪৫০ নম্বর কক্ষের থাকতেন।
হলে শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি এবং ছাত্রলীগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনোভাব জানতে দুপুর ২টায় হলে প্রবেশ করেন তিনি। পরে হলের শিক্ষার্থীরা তাকে চিনতে পেরে আটক করে গাছে বেঁধে রাখেন এবং ছাত্রলীগের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেসাবাদ করেন।
এসময় তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পরিচয় পত্র ও হলের আবাসিক কার্ড ছিল না। পরে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মদের বোতল পাওয়া গেলে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে তাকে নগরীর মতিহার থানায় হস্তান্তর করা হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে বিভিন্ন সময়ে জয়বাংলা ব্লাড স্কিমের নাম করে ছাত্রদের আবাসিকতার তথ্য নিতেন। হলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করছেন বলে তারা জানান।
এ বিষয় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জুনায়েদ আহমেদ বলেন, আল-আমিন গত জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ভিডিও ধারণ এবং ছবি তুলে ছাত্রদের পরিচয় ছাত্রলীগের মাঝে ফাঁস করে দিতেন। গত মাসের ১৬-১৭ তারিখে ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় সে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। আজকে হলে আসতে দেখে আমরা তাকে আটক করি এবং গাছে বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তার মোবাইল ফোনে ছাত্রলীগের নেতাদের তথ্য দিয়েছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নেতা বলেন, আমি হলে এর আগেও এসেছিলাম। এসে হলের সাবেক সভাপতি মমিনুল ইসলামের কক্ষে গিয়ে বইখাতা বের করে নিয়ে আসি। আমি হলে ওঠার জন্য মমিনুলকে ২ হাজার টাকা দিয়েছি। আজকে হলে থাকার জন্য এলে আমাকে আটকে রাখে। আমি কখনো কাউকে নির্যাতন করিনি। তবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আব্দুস সালাম বলেন, তার রুমে কয়েকটি বাংলা মদের বোতল পাওয়া গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল সে ছাত্রলীগ কর্মী। এখানে অনেক নির্যাতন করত। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: