রাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০২; আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৪:০৬

আইন ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪-২৫ স্থগিত করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ২ টি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রকাশক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের বিষয়টি সম্পর্কে সুপারিশ প্রদানের জন্য উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খানকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলামকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিন সকাল ১০ টায় উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের আহ্বানে আইন বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষকদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল থেকে আইন ও মার্কেটিং বিভাগ চাইলে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করতে পারে।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, "বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি। তদন্ত শেষে আমরা প্রতিবেদন জমা দেব। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে"।
এর আগে, গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে আইন ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বণিক বার্তা পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবু সালেহ শোয়েব ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমানসহ প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। আহতদের মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঐদিন রাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের দুই পাশে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেশীয় অস্ত্র হাতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ৩ প্লাটুন সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি বিশেষ শাখা কাজ করে। একপর্যায়ে আইন বিভাগে ভাংচুর চালানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করবে আর সাংবাদিকরা ভিডিও ফুটেজ নিতে পারবে না এমন ফ্যাসিস্ট আচরণ ক্যাম্পাসে চলবে না। একজন সাধারণ শিক্ষার্থীও চাইলে ভিডিও করতে পারে কিন্তু একজন সাংবাদিক ভিডিও ধারণকালে তার উপর আক্রমণের অধিকার শিক্ষার্থীরা রাখে না। ক্যাম্পাসে কোনো গুন্ডামি চলবে না, ফুটেজ নেওয়া সাংবাদিকদের অধিকার। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমি নিজেই এ বিষয়ে তদন্ত করব।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: