কুয়েটে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারে ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

ইবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১২; আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১২

- ছবি - ইন্টারনেট

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় এই সমাবেশ করেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক এস.এম.সুইট,সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান,গোলাম রব্বানী,ইয়াসিরুল কবীর সৌরভ তানভীর মাহমুদ মন্ডলসহ অন‍্যানারা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বিএনপিপন্থি ও ছাত্রদল সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। হামলার প্রকৃত তদন্ত শেষ না হতেই দুই মাস পর কুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরীহ ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়।

যেটি  সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত বলে অভিহিত করেছেন। এ মামলা কেবল ২২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নয়, এটি দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণের চেষ্টা। রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষাঙ্গনের নিরীহ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের দমন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। 

তারা আরও বলেন, মামলার পাশাপাশি আন্দোলন দমন করতে প্রশাসন একের পর এক দমনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হল বন্ধ ঘোষণা, বিদ্যুৎ-পানি-ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক হল ছাড়তে বাধ্য করা, এবং আন্দোলনকারীদের ওপর অপপ্রচার চালানো। প্রশাসনের এমন অমানবিক আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। প্রশাসনের সদর্থক পদক্ষেপ না এলে ছাত্রসমাজ বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবো।

সমাবেশে এস এম সুইট বলেন, কুয়েটের উপাচার্য যে কাজটি করেছে বিগত ১৬ বছরের পতিত সৈরাচার উপাচার্যগুলো সে কাজ করার সাহস করেনি। নতুন বাংলাদেশের ভিসি হিসেবে উপাচার্যের যা করার কথা ছিল এ উপাচার্য তার বিপরীতটা করেছে। কুয়েটের ভিসি সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এ ঘটনার পরে কুয়েটের ভিসি তার চেয়ারে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। নিজ অবস্থান থেকে তার পদত্যাগ করা উচিৎ। 

প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top