ইবিতে দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
ইবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪১; আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ০১:৩৪

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অনুষদ ভবনের সামনে থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে বেলা ১০.০০ টায় অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বিভাগটির শিক্ষক ও বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে একটি বিদায়ী র্যালি শুরু করে।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।ক্যাম্পাস লাইফকে স্মরণীয় করে রাখতে এ দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবেগঘন অনুভূতি ও ক্রেস্ট বিতরণীসহ বিভিন্ন আয়োজন করেন তারা। পরে বিভাগের সেমিনার কক্ষে বিভাগটির সভাপতি ড.মোঃ রহিম উল্যাহ সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোঃ নসরুল্লাহ । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান আনওয়ারী, অধ্যাপক ড. মাসউদ আল মাহদী, অধ্যাপক ড.মোঃগোলাম মাওলা।
বিদায়ী শিক্ষার্থী নুরজাহান বলেন,বিদায় আমাদের জন্য কষ্টের তাও আমরা যে অশ্লীল, বেহায়াপনা, র্যাগ ডে নামক অপসংস্কৃতি থেকে বাহিরে এসে আমরা র্যালী এর মাধ্যমে আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান শুরু করতে পারছি তার জন্য আমরা খুবই আনন্দিত। ২০১৯ সালে নবীনবরণের মাধ্যমে আমাদের এই বিভাগের সাথে পথচলা শুরু হয়। আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের এই পথচলা শেষ হয়েছে।আজকে আমরা সুন্দরভাবে পড়াশোনা শেষ করতে পেরেছি তার জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
বিভাগের আরেকজন শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না অলি বলেন,আমরা এইখান থেকে যে শিক্ষা নিয়েছি তা আমাদের একটি প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ছিল তা শেষ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দা’ওয়াহ ছড়িয়ে দেবো।আজকে আমাদের র্যালীর উদ্দেশ্য হলো আমরা ছোটবেলা দেখে এসেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগ ডে নামক বেহায়াপনা,অশ্লীলতা,ইসলাম অনৈতিকতার সংলাপ থাকত কিন্তু আমরা আজকে নীরব র্যালীর মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই বিদায় মানে শুধুমাত্র বেহায়াপানা, অশ্লীলতা না।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহিম উল্লাহ স্যার বলেন, “ আমরা বিদায় শিক্ষার্থীদের সাথে সফলভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পেরেছি। আল্লাহর শুকরিয়া, সবাই সুস্থ ও সুন্দরভাবে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পেরেছে। সংক্ষেপে বলতে চাই আমরা সবাই সবার জন্য দোয়া করবো।"
উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, দাওয়াহ'র কাজ হচ্ছে জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়া। রাসূলের নেতৃত্বের গুণাবলী তোমরা অনুকরণ করবে। মানুষকে ভালো কাজের উপদেশ এবং খারাপ কাজে নিষেধ করবে।ইসলামের বিপক্ষে কেউ কিছু বললে তাকে মেধা দিয়ে পরাস্ত করবে। তুমি উদ্যোগ গ্রহণ করো, অর্থ তোমার পিছনে দৌড়াবে। টাকা কোন সমস্যা না, জিয়াউর রহমান বলেছেন।
আমি দাওয়ার মাস্টার্সের সিলেবাস দেখলাম এখানে প্রতিটা কোর্সে সেমিনার হবার অধিকার রাখে। এই বিভাগকে উন্নত করতে মাসিক রিচার্স পেপার, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যায়। ছাত্র এবং শিক্ষকরা একে অংশগ্রহণ করবে। অনেকে রিচার্সের কাজ করছে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাবো। ডিপার্টমেন্টের অ্যালামনাই থেকে আমার দাবি থাকবে যাতে একটি কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করে দেয়।
আগামী পাঁচ তারিখে মিশরীয় একটি টিমের সাথে আমার সাক্ষাত রয়েছে। মিশরের আল আযহারের মত বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করব। ছাত্রদের কল্যান করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: