রাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৫ ২০:৪৯; আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ০৪:৩৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে শাহবাগ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রগণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার বলেন, "চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী এটিএম দায় মুক্তি প্রদানের প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মশাল মিছিল ডাকে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। একই সময়ে ছাত্র শিবিরের একটি আনন্দ মিছিল পরিবহন মার্কেটে বামপন্থীদের আড্ডার স্থলকে ঘিরে বারবার প্রদক্ষিণ করতে থাকে।
আমরা তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকি এবং তাদের সমাবেশ শেষ হওয়ার পরে ৪৫ মিনিট বিলম্বে ৮টা ১৫ তে মিছিল শুরু করি। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র শিবিরের প্রচার সম্পাদক নওসাজজামান, ছাত্র মিশনের জিএ সাব্বির সহ আরো অনেকের নেতৃত্বে আনুমানিক ২০০ জনের একটি মব আমাদের দিকে তেড়ে আসে এবং অতর্কিত ইট পাটকেল, চেয়ার ও লাঠি ছুঁড়ে মারতে শুরু করে। "
লিখিত বক্তব্য তারা আরো জানান, "আমরা উত্তেজিত না হয়ে, সংঘর্ষ এড়িয়ে মিছিল নিয়ে সামনে অগ্রসর হই। পরবর্তীতে মিছিলটি নিয়ে আমরা বুদ্ধিজীবী চত্ত্বর সংলগ্ন প্যারিস রোডে পৌঁছালে আরো দুই দফা হামলা করা হয়।
এ সময় আমরা প্রায় সকলেই এলোপাথাড়ি ইট, পাটকেলের মাধ্যমে আঘাত প্রাপ্ত হই। ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকারকে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি লাথি-ঘুষি মারা হয় এবং বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সংগঠক তারেক আশারাফকে ইটের আঘাতে রক্তাক্ত করা হয়।
২৪ পরবর্তী ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কায়দায় এই ভয়াবাহ সন্ত্রাসী আক্রমণের বিচার চাইতে প্রক্টর অফিসে গিয়েও সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আশ্বাস না পাওয়ার অভিযোগ করেন তাঁরা। প্রক্টরিয়াল বডি তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিলে আমাদের সহযোদ্ধারা এভাবে রক্তাক্ত হতোনা বলে জানান তারা।
এসময় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, 'আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের প্রশাসনকে দেখতাম ছাত্রলীগের সন্ত্রাসকে প্রত্যক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে।
আজ অভ্যুত্থান পরবর্তী রাবি প্রশাসনকেও আমরা দেখতে পেলাম ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে সমর্থন যোগাতে। যেন এটাও ফ্যাসিবাদী আমলের সেই দলীয় প্রশাসন, কেবল দলটা ভিন্ন। অভ্যুত্থান পরবর্তী রাবি ক্যাম্পাস আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের সেই দমবন্ধকারী পরিস্থিতে ফিরে যাক তা আমরা চাই না।
প্রশাসন যদি অবিলম্বে হামলাকারী শিবির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা না করে। সেক্ষেত্রে আমরা এই প্রশাসনকে সন্ত্রাসীদের তাবেদার মনে করে অপসারণ চাইতে বাধ্য হবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কাইসার আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব-আন্দলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, বিপ্লবী ছাত্র-মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: