"আমাদের কাছে ব্যক্তি নয় অপরাধ মূখ্য": অ্যাটর্নী জেনারেল

রাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৪৬; আপডেট: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৩২

ছবি: রাজ টাইমস

আমাদের কাছে ব্যক্তি নয় অপরাধ মূখ্য। আমি যেভাবে থাকি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আপনাদের জুলাই বিপ্লবের চেতনার সাথে এক কাতারে থাকবো। আপনাদের স্বপ্নের সারথী হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে, কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে এগিয়ে যাবো।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে "জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন আ্যটার্নী জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, "দাবি এসেছে জুলাই আগস্টের গুম খুনের বিচার করতে হবে। অমুকের বিচার করতে হবে, তমুকের বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে, সালমানের বিচার করতে হবে। আপনাদের এই দাবির সাথে একমত পোষণ করে একটু ভিন্নমত পোষণ করছি ভিন্ন জয়গায়। আমাদের কাছে ব্যক্তি নগন্য, আমাদের কাছে মূখ্য কি অপরাধ করেছে। আপনারা ব্যাক্তির বিচার চাচ্ছেন আমরা অপরাধের বিচার করতে চাচ্ছি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৫ শতাধিক মানুষকে অবিচারে গুলি করে হত্যা করেছে, ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। গত ১৭ বছরে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নির্বিচারে শহীদ হয়েছে। ৬০ লক্ষ মানুষ বিনা দোষে রাজনৈতিক মামলার স্বীকার হয়েছে।এসব অপরাধের বিচার করলে যারা এর সাথে সম্পৃক্ত তারা অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হবেন।

বাংলাদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায়, সাংবিধানিক আইন প্রতিষ্ঠায় আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠায় যত বাঁধা আসুক, যত ব্যারিকেড সবকিছু উপেক্ষা করে বাংলাদেশের জনগণ আসুক জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার জন্য একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠন করবে।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা এমন একটি সংবিধানের স্বপ্ন দেখি যে সংবিধানে আর কোনো মা-বোনকে স্বামী এবং তার সন্তানের জন্য রাতে অপেক্ষা করতে না হয়। কোন মা বোন কে তাহাজ্জুদে বসে যেন কাঁদতে না হয়। আর কোন কার্টুনিস্টকে যেন জেলে মরতে না হয়। আমরা সাংবিধানিক ভাবে এমন একটি জায়গায় যেতে চাই যেখানে সকল শহীদদের রক্তের মুল্য দেওয়া হবে৷ এই স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। আমরা সেই রাষ্ট্রকে একটি সুসংগঠিত কাঠামোর মাধ্যমে গড়ে তুলবো।"

এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতি রাবি উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, রাষ্ট্রের সকল সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো সুশিক্ষা। শ্রেষ্ঠতম সংবিধান অনেক খারাপ কাজ আটকে দিতে পারে কিন্তু একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠন করতে পারে না। ২৪ এর জুলাই আগস্ট আমাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। নতুন চিন্তাকে ধারণ করতে হলে আমাদের পুরাতন ধারা থেকে বেড়িয়ে আসবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে গিয়ে দেখলাম এখানে সবাই পুরাতন ধারাকেই নিজের বতলে চায়। সবাই চায় আগে ওরা করেছে আমরাও করবো। দেশের প্রতি ভালোবাসার চেতনাকে ধারণ করতে দেশাত্মবোধক গান শোনা লাগে না। আজকের এই অনুষ্ঠানে হারা জিত হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের সবাইকে দেশকে ভালোবেসে নিজস্বতা প্রকাশের বদলে কাজে দেখাতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন একরামুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিক্ষা ড. ফরিদ উদ্দীন ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top