অভিযানের খবরে হল থেকে পালাল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২১ ১৫:০২; আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৪৩

ছবি: সংগৃহিত

করোনা সংক্রমণের পর থেকে বন্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের অবস্থানের সংবাদ প্রকাশের পর হলগুলোতে অভিযান চালাতে যায় প্রশাসন। আর এই খবর পেয়ে হল ছেড়ে পালিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফলে কাউকেই আটক করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে প্রশাসন অভিযান চালাতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ২০ জুন জাগো নিউজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করার সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর অভিযান চালায় প্রশাসন।

অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী নেতৃত্ব দেন। এ সময় দুই হলের প্রভোস্ট, হাউস টিউটর, প্রক্টরিয়াল টিম এবং পুলিশের রমনা জোনের কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থানরতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর উদ্দেশ্যে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে যান। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সাহিত্য সম্পাদক এস এম রিয়াদ হোসেনসহ হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হল থেকে ভিন্ন পথ ব্যবহার করে পালিয়ে যায়। যার জন্য অনেক ‘খোঁজাখুঁজি’ করেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জহুরুল হক হলে ব্যর্থ অভিযানের পর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে অভিযান চালাতে গেলে সেখানেও কাউকে পাওয়া যায়নি।। তবে হলের পাশে পলাশী মোড়ে হলে অবস্থান করতে দেখা যায় হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।

অভিযান শেষে অধ্যাপক গোলাম রব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, আমি নিজে অবস্থান করে হল প্রভোস্টদের উপস্থিতে দুটি হলে অভিযান চালানো হয়। দুই হলের তিনটি করে ছয়টি রুম সিলগালা করা হয় এবং এসএম হলে আরও পাঁচটি রুম সিলগালা করবে হল প্রশাসন। জহুরুল হক হলে আমাদের অভিযানের খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায় তবে হলে তাদের উপস্থিতির আলামত আমরা পেয়েছি, বাতিও জ্বালানো ছিল। আর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রভোস্টকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অভিযানের সময় আমাদের হলে কেউ অবস্থান করেনি। তিনটি রুমে (২৯, ৩৫, ৩৯ নম্বর রুম) উপস্থিতির আলামত পাওয়ায় সেগুলো সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। আর কয়েকটি রুমে বাতি জ্বালানো ছিল সেগুলো তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে সিলগালা করে দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে হলে পাওয়া যায়। সে বিকেলে হলে আসার পর হল গেইট তালাবদ্ধ থাকায় সে বের হতে পারেনি। সেজন্য সে হলে অবস্থান করে, তাকে এখন বের করে দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে হল গেইট বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, হলের যেসব রুমে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের আলামত পাওয়া গেছে সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে। আমরা হলে অবস্থান করা নিয়ে কঠোর অবস্থানে আছি।

সূত্র: জাগো নিউজ।



বিষয়: ছাত্রলীগ


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top