১৯ মাস পর খুললো রাবির আবাসিক হল

কে এ এম সাকিব | প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২১ ০০:০০; আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০২:৩৭

হল পরিদর্শনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধের পর খুলে দেয়া হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ। রোববার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় একডোজ টিকা নেয়ার শর্তে শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া হয়।

এদিন সকাল থেকেই হলে প্রবেশ করতে শুরু করেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হলে প্রবেশের সময় চেক করা হয় শরীরের তাপমাত্রা, করানো হয় স্যানিটাইজেশন। শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয় মাস্ক।

হলগেটে শিক্ষার্থীদের বৈধ পরিচয়পত্র ও টিকা গ্রহণের সনদ দেখে হলে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছে।এসময় শিক্ষার্থীদের ফুল, চকলেট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দিয়ে বরণ করে নেন আবাসিক হলের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক সুখরঞ্জন সমাদ্দার কেন্দ্রে (টিএসসিসি) টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এরপর তিনি সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পরিদর্শন করেন।

এসময় উপাচার্য বলেন, ‌‘আমরা আনন্দিত দীর্ঘ বন্ধের পর শিক্ষার্থীরা ফিরেছে। তাদেরকে আমরা ফেরাতে পেরেছি। তাদেরকে বরণ করে নিতে আমরা সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। করোনার টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ আক্রান্ত হলে আইসোলেশনের জন্য হাসপাতালে শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ডেডিকেটেড অ্যাম্বুলেন্স ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন সংরক্ষণ করা হয়েছে।’

উপাচার্য আরও বলেন, "শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ হাজার ৬০০ টিকার বরাদ্দ দিয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
দীর্ঘদিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে তৈরি হওয়া একাডেমিক ক্ষতি পূরণ করতে শিক্ষা পরিষদের সভায় আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান উপাচার্য।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের গোলাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, চলকেট ও মাস্ক উপহার দিয়ে বরণ করে নেন তারা।

এদিকে দীর্ঘদিন পর হল খুলে দেওয়ায় উৎফুল্ল শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, অনেক দিন পরে মনে হচ্ছে ঘরে ফিরছি। একটা অন্য রকম এক্সাইটমেন্ট কাজ করছে। দীর্ঘ বিরতির পর হলে উঠতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে।

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে হলে আগত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তন্নী বলেন, দেড় বছর পর হল খুলে দেয়ায় আমরা খুব আনন্দিত। সাথে পরিচিত মুখ দেখে আরো ভালো লাগছে। এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম, ধন্যবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সৈয়দা নুসরাত জাহান বলেন, আজকে আমাদের আনন্দের দিন। দেড় বছর পর আমরা হল খুলে দিতে পেরেছি।যেহেতু করোনা ভাইরাস এখনো নিঃশেষ হয় যাইনি এজন্য শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ নজর রাখা হবে। শিক্ষার্থীরাও স্বাস্থবিধি মেনে হলে প্রবেশ করছে। শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড, টিকা কার্ড দেখে তাদের আমরা বরণ করে নিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের যেকোনো সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top