গাছের সঙ্গে বেঁধে রিপ্রেজেন্টেটিভদের হেনস্তা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২২ ০৬:১২; আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১২:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আনসার সদস্যদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন ওষুধ কোম্পানির পাঁচ রিপ্রেজেন্টেটিভ (বিক্রয় প্রতিনিধি)।

রোববার হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেছেন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে বহির্বিভাগের সামনে ওষুধ কোম্পানির পাঁচজন রিপ্রেজেন্টেটিভ চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র চেয়ে নিয়ে ছবি তোলেন।

এ সময় কর্তব্যরত আনাসার সদস্যরা ছবি তুলতে বাধা দিলে উভয়পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে ওই পাঁচজন রিপ্রেজেন্টেটিভকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। এরপর তাদের কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

পরে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানির কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান হেনস্তার শিকার রিপ্রেজেন্টেটিভরা।

বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) রাজশাহী মহানগর শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোমরে দড়ি বাঁধার ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িততের বিচার করতে হবে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন ফারিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খান প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ডাক্তার ও নার্সদের মতো আমরাও স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখি। আমরা কোনো চোর নই যে, আমাদের কোমরে রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যেতে হবে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। পাশাপাশি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া বাধাহীনভাবে হাসাপাতালে রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রবেশধিকারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ‘একমি’ ওষুধ কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার মুকিবুল ইসলাম বলেন, হেনস্তার শিকার হওয়াদের মধ্যে আমাদের কোম্পানির দুজন প্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু তারা কী এমন অপরাধ করলেন যে, এভাবে প্রকাশ্যে হেনস্তা করতে হলো? করোনার সময় আমরা জীবনবাজি রেখে মানুষের মাঝে ওষুধ পৌঁছে দিয়েছি। এখন হয় তো রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে বিনয়ের সঙ্গে ব্যবস্থাপত্র চেয়ে নিয়ে সেগুলোর ছবি তুলেন বা সার্ভে করেন রিপ্রেজেন্টেটিভরা। এ অপরাধে এত বড় সাজা দিতে পারেন না সংশ্লিষ্টরা। এর সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি বলেন, রিপ্রেজেন্টেটিভরা ব্যবস্থাপত্র দেখার নামে রোগীদের হয়রানি করেন। তাদের নিষেধ করার পরও হাসপাতাল চত্বরে এসে একই কাজ করেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আনসার সদস্যরা তাই কয়েকজনকে ধরে আটকে রেখেছিল; কিন্তু কোমরে দড়ি বাঁধার বিষয়টি আমার জানা নেই।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top