ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী

রাজশাহীতে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২২ ০৪:৩৮; আপডেট: ৮ জুলাই ২০২২ ০৪:৪০

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে রাজশাহীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। ছবিটি সিটি হাট থেকে তোলা।

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে রাজশাহীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। ঈদের শেষ মুহুর্তে পুরোদমে চলছে গরু-ছাগল কেনা-বেচা। হাটেও উঠেছে বিভিন্ন সাইজের কোরবানি পশু। তবে এবার বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশী। এদিকে নিরাপত্তার জন্য হাটে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের রয়েছে নজরদারি।

রাজশাহী প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্র মতে, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৬০টি। রাজশাহী জেলায় কোরবানিযোগ্য পশু ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৫২টি। ১৬ হাজার ৭৯ জন খামারির কাছে রয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭২টি গরু, ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫টি ছাগল, ৩৮ হাজার ২৪৫টি ভেড়া ও ৩ হাজার ২১১টি মহিষ।

জেলায় এবার কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৮টি। চাহিদার চেয়ে প্রায় ১০ হাজার বেশি পশু আছে রাজশাহীর ৯ উপজেলায়। গত বছর রাজশাহীতে কোরবানির জন্য ৩ লাখ ৮২ হাজার পশু পালন করা হয়েছিল। আর কোরবানি হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৯ হাজার পশু। হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের প্রায় ৭৩ হাজার কোরবানির পশু অবিক্রিত রয়েছে। সেই পশুর একটি বড় অংশ এবারের কোরবানির পশুর সংখ্যায় যোগ হয়েছে।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র দুই দিনবাকী। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা আর হাঁকডাকে পশু হাট গুলো মুখরিত। উত্তারাঞ্চল তথা দেশের অন্যতম বৃহৎ হাট ‘সিটি হাট’। রবিবার ও বুধবার ছাড়া প্রতিদিনই হাট বসছে। এছাড়া নগরীর উপকণ্ঠ নওহাটা, কাটাখালি এবং বাণেশ্বরে বসে পশুর হাট। এছাড়া নগরীর কোর্ট বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসে ছাগল-খাসির অস্থায়ী হাট বাজার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাট গুলোতে কোরবানি পুশুর মধ্যে দেশী গরু-ছাগলের যথেষ্ট যোগান রয়েছে। তবে সৌখিন ব্যক্তিদের কথা বিবেচনা করে কিছু ব্যবসায়ী হাট গুলোতে উন্নত জাতের বড় গরুর পাশাপাশি ভেড়াও বিক্রী করছেন।

এবার বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশী।

প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকছে ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকে হাটে আসছে বাহারি রঙের গরু ছাগল। তবে হাটগুলোতে বড় গরুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানান। আবার দাম নিয়েও রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পরস্পর বিরোধী মন্তব্য। ক্রেতাদের দাবি, সাধ্যের বাইরে চাওয়া হচ্ছে দাম আর বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রি করার মতো দাম হাঁকাচ্ছেন না ক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের দাবি, গো-খাদ্যের দাম প্রচুর পরিমাণে বাড়ায় গবাদি পশুর দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

হাটে ছোট গরুর দাম ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার, মাঝারি গরু ৭০ থেকে ৯০ হাজার আর বড় গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার উপরে। এর পরেও সামর্থ এবং সাধ্যেও মধ্যে কোরবানি জন্য প্রয়োজনীয় পশুটি ক্রয় করছেন ক্রেতারা। এদিকে নিরাপত্তার জন্য হাটে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের রয়েছে নজরদারি।

 

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top