রাবিতে দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৪৭; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫১

 

বিভিন্ন আয়োজন মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা। বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব ও জাতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি জাদুঘরের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

  • রোববার বিকেল ৩টায় শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় এবারের বিজ্ঞান মেলা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে রাবি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি আবিদ হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ রেফারেন্স ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস'র মহাপরিচালক ড. মালা খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন জালাল উদ্দিন সরকার, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের ডিপুটি ডিসপ্লে অফিসার সৈকত সরকার, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা প্রফেসর ড. তারিকুল হাসানসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টামন্ডলী।

ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল লতিফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন আরা নিশুর সঞ্চালনায়নঅনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জহুরুল ইসলাম মুন। এরপর অতিথিরা স্মরনিকা এর মোড়ক উন্মোচন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মালা খান বলেন, আমরা সবাই বিজ্ঞানী। রান্নার সময় মা চিন্তা করেন, ভাত রান্না করে শর্করার চাহিদা পূরণের জন্য, মাছ মাংস রান্না করে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য, শাক রান্না করে ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য। আমাদের পিতামাতারাও একরকম বিজ্ঞানী। বর্তমানে সময়ে ধারণা করা হয়, মানুষ বিজ্ঞান বিমুখী। কিন্তু বিষয়টা এরকম না। এখন সবাই বিজ্ঞান নিয়ে ভাবে কাজ করে। সব কাজের মধ্যেই বিজ্ঞান নিহিত। বিজ্ঞান মনস্ক হলে শুধু বিজ্ঞান বিভাগ হতে হবে, এমনটা নয়। কলা ও বানিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিজ্ঞান চর্চা করতে পারে। বিজ্ঞান সবার জন্য উন্মুক্ত।

ক্লাবটির সভাপতি আবিদ হাসান বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব বিজ্ঞান জনপ্রিয় করার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আয়োজন করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় এই বছর ষষ্ঠবারের মতো টেকসই উন্নয়নের ৯ টি লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে আয়োজন করছে "৬ষ্ঠ আরইউএসসি ন্যাশনাল সায়েন্স ফিয়েস্টা ২০২২"৷ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর অংশ নেয়। আমাদের এবারের আয়োজন একটি নতুন মাইলফলক স্পর্শ করছে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করার ক্ষেত্রে এবারের আয়োজন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হবে।

এদিকে এবারের বিজ্ঞান মেলায় দশটি আয়োজন ছিল। দুই হাজার শিক্ষার্থী তাতে অংশ নিয়েছেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে ৭৮ জন বিজয়ীকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, টি-শার্ট এবং চ্যাম্পিয়নদের প্রাইজ মানি দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় দিন বিজ্ঞান প্রজেক্ট শো কমপিটিশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, ওয়াল ম্যাগাজিন, সায়েন্টিফিক স্পিচ কম্পিটিশন, রুবিক্স'স কিউব, পেইন্টিং কম্পিটিশন, তিন মিনিট থিসিস প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো স্টার ভিজুয়ালাইজেশন, 3D, 4D, 6D এবং 9D মুভি শো এবং স্টেজ সায়েন্স শো দেখার সুযোগ।

২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে নিরলসভাবে বিজ্ঞান প্রচার ও প্রসারে কাজ করছে ক্লাবটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে শুরু হওয়া সায়েন্স ফিয়েস্টা বর্তমানে বিজ্ঞান প্রেমীদের জন্য এক জনপ্রিয় আয়োজন। প্রতিবছর কয়েক হাজার বিজ্ঞানপ্রেমী অংশ নেয় জনপ্রিয় এ সায়েন্স ফিয়েস্টায়।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top