বন্দুকযুদ্ধ
‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই সন্ত্রাসী নিহত, একে-২২ উদ্ধার
রাজটাইমস ডেক্স | প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৪৮; আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ০৬:৫৭

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় মঙ্গলবার বিকেলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টহলদলের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় এক সেনাসদস্য গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-২২ রাইফেল (এসএমজি) উদ্ধার করা হয়েছে। রাতে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান রাত সাড়ে ৯টায় মুঠোফোনে বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অনেক দিন ধরে নানিয়ারচরের জেলেদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল জেলে সেজে চাঁদা দেওয়ার জন্য রউফ টিলায় গেলে সন্ত্রাসী দলের নেতা চাঁদা নিতে আসেন। তখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ধরে ফেললে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ ও লাশের পাশে একটি অত্যাধুনিক একে-২২ রাইফেল পাওয়া যায়। এর মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে মূল নাম পাওয়া যায়নি। তাঁর ছদ্মনাম রকেট চাকমা। বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া গ্রামে। চাঁদাবাজি করার সময় নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, নানিয়ারচর উপজেলার রউফ টিলা এলাকায় বিকেলে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা গুলিবিনিময় শেষে ঘটনাস্থলে দুজনের লাশ ও একটি একে-২২ রাইফেল পাওয়া যায়।
আইএসপিআর জানায়, ওই ঘটনায় ইউপিডিএফের (প্রসিত গ্রুপ) গুলিতে সেনাটহলে থাকা সৈনিক শাহাবুদ্দিন বাম কাঁধে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, কোন সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়েছে, তা নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ, ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি অস্ত্রধারী দলের বিচরণ রয়েছে বলে শোনা যায়।
সূত্র: প্রথম আলো/ এমএস ইসলাম
বিষয়: বন্দুকযুদ্ধ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: