চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছাড়াল ৪১ ডিগ্রি, সতর্কতা জারি

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৯; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১২:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

টানা অষ্টম দিনের মতো চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে ও তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ ও স্থবির হয়ে পড়েছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ১৭ শতাংশ। এটি দেশে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২০০২ সালে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার প্রতিষ্ঠার পর ২০০৫ সালের ২ জুন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত বছর ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র তাপদাহে এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, টানা ৩ দিন ধরে এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। তার সাথে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে একটানা ৮ দিন ধরে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ সেলসিয়াস এবং এ সময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৪৫ শতাংশ।

দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ সময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ১৯ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও বেড়ে বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ সময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ১৭ শতাংশ। এটি দেশে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

অতিরিক্ত গরম ও তীব্র তাপের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শতশত শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীরা বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে। তীব্র গরমের ফলে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন শিশু ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং বহির্বিভাগেও প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top