জমে উঠেনি বেচা-বিক্রি

রাজশাহীতে বেড়েছে কুরবানী পশুর আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৪ ১৯:১৮; আপডেট: ৫ জুলাই ২০২৪ ০০:১৬

সংগ্রহীত

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজশাহীর পশু হাটগুলোতে কুরবানির পশু আমদানি বেড়েছে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার পযন্ত আশানুরুপভাবে কুরবানির পশুর বেচা বিক্রী বাড়েনি। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা আজ শুক্রবার থেকে সিটি হাটে কুরবানির পশু কেনা-বেচা জমে উঠবে। ওই সময়ে হাটে কুরবানির পশু আমদানি আরও বাড়বে। রাজশাহীর সিটি হাট থেকে এখন পশু কিনে চালান করছে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যাপারীরা।

রাজশাহী বৃহত্তম পশু হাটের মধ্যে সিটি হাট অন্যতম। এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, নগরী ও আশপাশের এলাকার ক্রেতারা যদিও হাটে আসছেন, পশু দেখছেন কিন্তু কিনছেন না। তারা নিজেদের আর্থিক সামর্থ্যরে মধ্যে পশু খুঁজছেন। এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতা মাঝারি আকারের পশু খুঁজছেন। কালু আরও বলেন, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সিটি হাটে কুরবানির পশু কেনা- বেচা চলবে। তখন বেচা-বিক্রি জমে উঠবে। এখন পযন্ত পশু হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। কোরবানির পশু হাটে মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। রাজশাহী মহানগরীর পশুর হাট সিটি হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, রাজশাহীতে এ বছর কুরবানি উপযোগী ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি বিভিন্ন ধরনের পশু মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৮৩ হাজার ৩৬৫টি, মহিষ ৩ হাজার ৭৬৯টি ও ছাগল রয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৩টি। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দাবি, প্রতি বছরের মতো এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় রাজশাহীতে কুরবানিযোগ্য পশু বেশি রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে লক্ষাধিক পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় চালান হবে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারীরা বড় আকারের কুরবানির পশু কিনে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছেন। ঈদের দুদিন আগে পর্যন্ত পশু চালান অব্যাহত থাকবে। তবে আমদানি বেশি বাড়লেও এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি হবে।

এদিকে সীমান্ত পথে ভারতীয় পশু আসা বন্ধ থাকায় রাজশাহীতে গত কয়েক বছর ধরে খামারে বাণিজ্যিকভাবে পশু পালন হচ্ছে। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাব মতে, রাজশাহীতে ২১৬টি বাণিজ্যিক পশু খামার আছে। এসব খামারে বছরে ২৫ হাজারের বেশি পশু রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য আসা শুরু হয়েছে। খামারে পালন করা অধিকাংশ পশু মোটাতাজা করা। এগুলোর ওজন নিম্নে ৫ মন থেকে ঊর্ধ্বে ১০ মন পর্যন্ত। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যাপারীরাই মূলত এসব মোটাতাজা পশুর ক্রেতা। এসব পশুর দামও অনেক বেশি। স্থানীয়ভাবে বড় পশু কম বিক্রি হয়।

স্থানীয় ক্রেতারা মাঝারি পশুর খোঁজে একহাট থেকে আরেক হাটে যাচ্ছেন। কেউ কেউ গ্রামেও কিনতে যাচ্ছেন গৃহস্থের বাড়িতে পালা গরু। ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর মধ্যে দামের দিক থেকে ৭০ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এমন গরুর চাহিদা বেশি। এর মধ্যে ৬০ হাজার টাকা দামের গরুগুলো একজন বা দু'জনে নিচ্ছেন কোরবানির জন্য। আর ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের গরুগুলো ৫ থেকে ৭ ভাগে কিনছেন ক্রেতারা।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top