রামেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৫৭; আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৪৭

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে তিন দিনের এক নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চুরির এ ঘটনা ঘটে। নবজাতকের স্বজনরা বলছেন, বাচ্চা তার নানির কোলে ছিলেন । এসময় অপরিচিত এক মহিলা বাচ্চার উন্নত চিকিৎসার কথা বলে হাসপাতালের বাইরে নগরীর বাটার মোড়ে এক আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। সেখান থেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে কৌশলে বাচ্চা চুরি করা হয়।
নবজাতকের বাবার নাম সুমন মিয়া। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগাছা থানার তাম্বুলপুর গ্রামে। সুমনের স্ত্রীর নাম মোছা. মনি খাতুন। তাঁর বাবার বাড়ি ঈশ্বরদীর গোকুলনগর গ্রামে। সন্তান চুরির এ ঘটনার একদিন পর নগরীর রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সুমন আলী । তিনি বলেন, গত সোমবার আমার স্ত্রী সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। বুধবার বিকেলে আমার শাশুড়ি বাচ্চা কোলে নিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় বোরকা পরিহিত অপরিচিত এক মহিলা নিজেকে স্বেচ্ছাসেবী দাবি করে বাচ্চা অসুস্থ এবং ভালো চিকিৎসার কথা বলে শহরের এক হোটেলের রুমে নিয়ে যাওয়ার পর কৌশলে বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যান ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মোছা. মনি খাতুন নামের এক নারী গত ৭ তারিখে পুত্র সন্তান জন্ম দেন। এর তিনদিন পর বাচ্চা হারানোর এমন অভিযোগ পেলে জানতে পারি নবজাতককে জোর করে বা ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি । বাচ্চার নানি নিজেই অপরিচিত এক মহিলার কাছে দিয়েছেন। তাদের থেকে যদি বাচ্চা নিয়ে যায় তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। এদিকে বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। শিশুটির নানা ও নানী রাজপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে আচরণ ‘সন্দেহজনক’ হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। সারারাত থানাতেই ছিল শিশুর নানা-নানী। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের ছাড়া হয়নি। পুলিশের দাবি, শিশুর বাবা আসলে এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তাদের আটক করা হয়নি। নবজাতকটির বাবা এলে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নানা-নানী থানায় মামলা করার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের থানায় রাখা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: