আগামীকাল ১৫ বছর পর

নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হবে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১৬:২৫; আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১৬:৩১

সম্মেলনের মঞ্চ ও মাঠের প্রস্তুতি নিয়ে কর্মীদের মাঝে বক্তব্য রাখছেন মহানগর আমীর ড. কেরামত আলী ।

আগামীকাল শনিবার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ ১৫ বছর পর নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী জেলা জামায়াতের এই কর্মী সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। মহানগরী ও জেলা জামায়াতের উদ্যোগে এ সম্মেলন ঘিরে দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। সর্বত্র বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। এরই মধ্যে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছে স্থানীয় জামায়াত। সম্মেলন উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাখা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সরেজমিনে দেখা যায়, জামায়াতের কর্মী সম্মেলন ঘিরে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণে সেজেছে পুরো রাজশাহী। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনগুলো নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সাঁটানো হয়েছে। আবার, জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধ এবং রাজশাহীর শহীদ আলী রায়হান ও শহীদ সাকিব আনজুমের ছবিও পৃথক পৃথক ব্যানারে স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের আমলে ফাঁসি দেওয়া জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানসহ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও অধ্যাপক গোলাম আযমের ছবি ও তাদের ‘বাণী’ ঠাঁই পেয়েছে ব্যানার-ফেস্টুনে। দলটির নেতারা জানান, এবারের কর্মী সম্মেলন হবে রাজশাহীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জমায়েত। সম্মেলন সফল করতে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় এক মাস ধরেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে মাদ্রাসা মাঠের পশ্চিম দিকে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে গতকাল শুক্রবার সকালে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আসেন দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় মহানগর জামায়াতের আমীর ড. কেরামত আলী বলেন, জেলার লক্ষাধিক মানুষ এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। এ লক্ষ্যে অনুষ্ঠানস্থল প্রস্তুত সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে শেষ মূহুর্তের কাজ চলছে। সমাবেশ থেকে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান চলমান সংস্কার ও আগামী নির্বাচন নিয়ে কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।

সম্মেলন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সম্মেলন ঘিরে পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। র‌্যাব ও পুলিশের পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া সম্মেলন ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের নিজস্ব ভলান্টিয়াররাও নিরাপত্তা রক্ষায় সহযোগিতা করবেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে জামায়াতের সর্বশেষ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আওয়ামী লীগের দমন-নিপীড়ন, হামলা-মামলার কারণে প্রকাশ্যে আর বড় কোনো প্রোগ্রাম করতে পারেননি দলটি। ফলে দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও রাজশাহীতে সমাবেশ করতে যাচ্ছে দেশের জামায়াত। রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ড. কেরামত আলীর সভাপতি ও জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল খালেক এর ব্যবস্থাপনায় কর্মী সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। 

 



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top