আট বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৪০; আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ০২:৫৮

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে প্রায় ৮ বছর মাছ ধরার বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে জেলেরা নাফনদীতে মাছ ধরতে পারবেন। এর আগে নাফনদীতে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে মাছ ধরা বন্ধ ছিলো।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।
তিনি জানান, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের জারিকৃত রুলনিশিতে টেকনাফের নাফনদীতে জেলেরা বৈধভাবে মাছ ধরা কার্যক্রম চালু করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং পিটিশনের কার্যালয়ে গত ১৫ আগষ্ট দাখিল করা আবেদন যথাযথভাবে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। এরই প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শর্ত অনুসারে, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানায় অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে। জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির ৫টি নির্ধারিত পোস্টে টোকেন, পরিচয়পত্র দেখাবে এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশি করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে।
তাছাড়া কোনো জেলে চেকপোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবে না। কোনো অবস্থায় বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করা যেতে পারে। যাতে কোনো ক্রমে নিবন্ধিত জেলে ছাড়া কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে। এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে নাফ নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ৯ মাস পরে জেলেরা নাফ নদীতে মাছ ধরতে পারবেন।
টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের জালিয়াপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল গনি বলেন, সাত বছর ৯ মাস পর নাফ নদী খুলে দেওয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের মাঝেও উল্লাস ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: