সীমান্তে বাড়ছে আফ্রিকান নাগরিকদের অনুপ্রবেশ

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:১৬; আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১০:০৮

- ছবি - ইন্টারনেট

ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

চলতি বছর এ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে ধরা পড়েছেন ৯ জন বিদেশি। এরা সবাই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। অধিকাংশই মানবপাচারে বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি সক্রিয় চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানায় পুলিশ। তবে অনুপ্রবেশকারী আফ্রিকান নাগরিকরা কেন ফেনী সীমান্ত বেছে নিয়েছেন, তা অজানা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

এ বিষয়ে বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোশারফ হোসেন বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। অনুপ্রবেশকারীদের আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তবে অনুপ্রবেশেকারীরা কেন ফেনী সীমান্তকে বেছে নিয়েছে তা অজানা।

জানা যায়, ফেনী জেলার সাথে ভারতের তিন দিক থেকে রয়েছে সীমান্ত। তবে মানবপাচারকারীরা নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম নিজকালিকাপুর ও পৌর এলাকার বাউরপাথর গ্রাম এবং বিলোনিয়া সীমান্ত।

সর্বশেষ ২২ মার্চ পরশুরামে নিজকালিকাপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে আটক হন সোমালিয়ান নাগরিক আবদেয়ালি মোহাম্মদ আলী। তার কাছে পাওয়া যায় ভারতের জাতিসংঘ ইউএনএইচসিআর রিফিউজি এজেন্সি থেকে সংগ্রহকৃত একটি রিফিউজি কার্ড। এর আগে ১৯ মার্চ পরশুরামের বাউরপাথর সীমান্ত থেকে আটক হন নাইজেরিয়ান নাগরিক নওসু ইজুচুকউ ক্যালিস্টার।

পুলিশ জানায়, আটক বিদেশিদের কাছে পাসপোর্ট, ভিসা বা ট্রাভেল ডকুমেন্টস জাতীয় কোন কিছুই পাওয়া যায় না। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তাদের পাসপোর্ট, কাগজপত্র, মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে। এসব তথ্য তারা আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করে সহজেই মুক্তি পেয়ে যায়।

এর আগে, মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় স্থানীয় নাগরিকদের আটক করে পুলিশ। ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের বিলোনিয়া পুলিশ আটক করে মির্জানগর ইউনিয়নের উত্তর কাউতলীর রাজু ও নিজকালিকাপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহিম নামে দুই ব্যক্তিকে। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি নিজকালিকপুর গ্ৰামের মোঃ এমরান নামে এক ব্যক্তিকে সুদানের এক নাগরিককে পাচারের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে আটক করে পরশুরাম মডেল থানা পুলিশ।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নুরুল হাকিম বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একটি চক্র বিদেশিদের পারাপার করে থাকে। মানবপাচারের সাথে কারা জড়িত পুলিশ তদন্ত করছে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা এ প্রসঙ্গে বলেন, বিদেশি নাগরিকদের দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের সুস্পষ্ট কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের কারণ তারা স্বীকার করেনি। এতে কয়েকটি চক্র জড়িত রয়েছে বলে ধারণা তাদের। এই চক্রের ২ সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে। অনুপ্রবেশকারীদের রিমান্ডে নিলেও তারা এই ব্যাপারে কোন তথ্য দেয় না। পরে আদালতের মাধ্যমে জামিন পেয়ে মুক্ত হয়ে তারা বাংলাদেশের ভিসা পায়।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top