সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর সংবাদ সম্মেলন

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২১ ১৩:২৬; আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫০

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পুত্রবধূ মাধবী আক্তার নীলা।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পুত্রবধূ মাধবী আক্তার নীলা।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রূপনগর আরামবাগে ভাড়া বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন নীলা। শ্বশুরবাড়িতে ‘জিম্মিদশা’ থেকে মুক্ত করে দুইবছর বয়সী মেয়েকে কোলে ফিরিয়ে দিতেও সংবাদ সম্মেলনে আকুতি জানান তিনি।

নীলা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার এক ননদ আছে, তার কোনো সন্তান নেই। আমার বড় মেয়েকে ওই ননদের কাছে দত্তক হিসেবে দিতে চান আমার শ্বশুর হাসান আরিফ। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। আমি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায়ও আমাকে মারধর করা হয় আমি প্রতিবাদ করায় উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আমাকে হাজত খাটানো হয়েছে।’

স্বামীকে হত্যা চেষ্টার মামলায় ১ মাস ৭দিন কারাগারে থাকতে হয়েছিল নীলাকে। বারবার আবেদন করেও জামিন মেলেনি তার। অবশেষে দশম বারের মতো চেষ্টার পর জামিন পান নীলা। কারাগারে থাকা অবস্থাতে দ্বিতীয় সন্তানেরও জন্ম দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নীলা জানান— গত ২৮ এপ্রিল নিজের দুই বছর বয়সী বড় মেয়েকে সবশেষ দেখেছিলেন নীলা। এরপর মেয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আর দেখা করতে দেননি।

নীলার অভিযোগ— মারধর, মামলা, আদালত থেকে জামিন না পাওয়া সবই সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফের ইশারায় হয়েছে।

নীলা বলেন, ‘আমার অবুঝ মেয়েটাকে ওরা দত্তক দিয়ে দিতে চায়। আমি রাজি না হওয়ায় নির্যাতন, মামলা, জেল খাটিয়েছেন আমার শ্বশুর। আমি আদালতের মাধ্যমে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আবেদন করেছি।’

নীলা জানান— এর আগে ব্ল্যাস্টের মাধ্যমে সমঝোতার জন্য তাদের বসানো হয়। সেখানে সমঝোতা না করে হাসান আরিফ একজন জুনিয়র আইনজীবীকে দিয়ে উল্টো হুমকি দিয়েছেন।

মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নীলা বলেন, ‘আমার স্বামী মোয়াজ একজন অ্যালকোহলিক। নিজে কিছু করে না, বাবার টাকায় চলে। তার বাবা যা বলে তাই শোনে।’

নীলা আরও বলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে একবার আমার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করেছে তারা। এখন আমার বড় মেয়ে কেমন আছে জানি না। ওর নিরাপত্তা নিয়েও আমি চিন্তিত।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল নীলার বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেন তার স্বামী মোয়াজ আরিফ। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা নীলা এক মাস চার দিন জেল খাটেন। কারাগারেই নীলার দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। গত ৭ জুন তিনি জামিনে মুক্তি পান।

নীলার স্বামী মোয়াজ আরিফ মামলায় অভিযোগ করেন— নীলা গত ২৮ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে বাসার গৃহকর্মীদের নির্যাতন করতে থাকলে তিনি বাধা দেন। এতে নীলা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ছোরা নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশে চোখে আঘাত করেন। পরে বাসায় থাকা গৃহকর্মীদের সহায়তায় উদ্ধার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন মোয়াজ।

মোয়াজের এ অভিযোগ মিথ্যা ও সাজানো বলে দাবি করেছেন নীলা। তিনি বলেন, ‘ওদের মারধর আর সহ্য করতে না পেরে আমি চাকু নিয়েছিলাম। বলেছিলাম, নিজেকেই নিজে শেষ করে দেবে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে চাকুতে মোয়াজের চোখে সামান্য ক্ষত তৈরি হয়।’

ওদের (শ্বশুরবাড়ি) ক্ষমতা আছে, ওরা ক্ষমতার জোরে সব করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মাধবী আক্তার নীলা।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top