সাতদফা দাবিতে

রাজশাহীতে সরকারী কর্মচারীদের সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:০২; আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:১৭

সাতদফা দাবি আদায়ে রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশ করেছেন সরকারী কর্মচারীরা। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীর গেলেনাবাদ কলোনি মাঠে এই সমাবেশ হয়। ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ’ এর আয়োজন করে। সমাবেশে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরা অংশ নেন।

সমাবেশ থেকে কমিশন গঠন করে নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন, পে স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তবর্তীকালীন সময়ে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ৫০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা, সচিবালয়ের মতো সকল দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থায় পদ-পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ; আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়া আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে পদ্ধতিতে নিয়োগ করা ও উন্নয়ন খাণ্ডের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর; জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় করে ভাতা পুনঃনির্ধারণ, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ; ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদানের দাবি জানানো হয়। রাজশাহীর সমাবেশ থেকে জানানো হয়, এরপর কর্মচারীরা ঢাকায় সমাবেশ করবেন। তারপরও দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১১-২০ গ্রেডের সরকারী চাকরিজীবী অধিকার আদায় ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুস সোহেল। প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের মূক্ষ সমন্বয়ক মোঃ ওয়ারেছ আলী। দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, আমজাদ হোসেন, ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ রাজশাহী বিভাগের আহব্বায়ক মোঃ আহসান মোর্শেদ ও মাহমুদ হাসান সমাবেশ পরিচালনা করেন। সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেনী সরকারী কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনসহ আরও বেশকিছু সংগঠনের ব্যানারে সরকারী কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top