রাজশাহীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরেও ভাঙ্গা হলো ঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২ ০৫:৪১; আপডেট: ২২ মে ২০২২ ০৫:৪২

সবুজ পল্লী নার্সারীর বিভিন্ন গাছ কর্তনসহ নার্সারীর মধ্যে থাকা একটি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া যায়

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাশিয়াডঙ্গা উত্তর পাড়ায় সবুজ পল্লী নার্সারীর বিভিন্ন গাছ কর্তন এবং নার্সারীর মধ্যে থাকা একটি ভাঙ্গচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজশাহী জেলা দায়রা জজ কোর্ট এর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কাশিয়াডাঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ঐ জমির দখলদার ও নার্সারীর মালিক আমানুল্লাহ।

নার্সারীর মালিক আমানুল্লাহ বলেন, মৌজা-কাশিয়াডাঙ্গা, জে.এল.নং-৫৫, খতিয়ান নং-আর.এস-০১, দাগ নং সাবেক-২৩৩, হাল-২২৪, রকম-ধানী, পরিমান .০৭০০ একর। এই জমি এস.ডি.ও.এসপি.এস কেস নং-৪০/ঢ১১/ ৭৩-৭৪ দলিল মূলে তার পিতা মৃত আব্দুল লতিফ, আব্দুল হামেদ এর নিকট হতে ১৯৮৩ সালে ২৮ এপ্রিল জমিটি ক্রয় করেন। যার দলিল নং- এর পি ৩২৩৭। এরপর হতে তারা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন।

কিন্তু এতদিনে এসে কাশিয়াডাঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার ইকবাল হোসেন শত্রুতা করে এই জমি সরকারের বলে দাবী করে সেখান থেকে নার্সারী সমস্ত গাছ তুলে নিয়ে জমি ফাঁকা করে দিতে বলেন। এ অবস্থায় তাদের এই দাবীর বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালে ইকবাল মানেন নি বলে জানান আমান। শেষে উপায় না দেখে জমি ও নাসারী বাঁচাতে উচ্ছেদের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চলতি বছরের ১৭ মে বুধবার রাজশাহী জেলা দায়রা জজ কোর্টে তিনি মামলা দায়ের করলে কোর্ট অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করত: ১৫ দিনের মধ্যে ইকবালকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর একটি নোটিশ করেন। ইকবাল এই নোটিশ গ্রহন করেন এবং তার সিলমোহরকৃত একটি কপি প্রেরককে দেন বলে জানান আমান এবং এই কপি তার নিকট রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

আমান আরো বলেন, একদিকে কোর্টের নিষেধাজ্ঞা, আরেক দিকে ইকবালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ। এত কিছুর পরেও কোর্টের আদেশ অমান্য করে ইকবাল ম্যাজিষ্ট্রেট ডেকে কোন কিছু না দেখে, সময় না দিয়ে হঠাৎ করে তার নার্সারীর গাছ কেটে ফেলে এবং নার্সারীর মধ্যে অবস্থিত একটি ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। সেইসাথে সেখানে থাকা একটি পাম্প ও বিদ্যুতের মিটার ভাঙ্গচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন। কোর্টের আদেশ অমান্যকারী ও নার্সারী ধ্বংসকারী ইকবালের শাস্তি এবং জমি ফিরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেন আমান।

কাশিয়াডাঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার ইকবাল হোসেন এর নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সরকারী খাস জমি। জমি দখল মুক্ত করতে ঘর ভাঙ্গা হয়েছে। তবে কোন গাছ কাটা হয়নি। নিষেধাজ্ঞা ও কারণ দর্শানোর নেটিশের জবাব না দিয়ে উচ্ছেদ করা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশ এর উত্তর প্রদানের এখানো ১৫ দিন সময় রয়েছে। আর রোববারে প্রতিবেদককে তিনি অফিসে ডাকেন কথা বলার জন্য।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top