খেলাপিদের জন্য বিশাল ছাড়

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২২ ০৯:২৫; আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৫১

ছবি: প্রতীকী

গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি মার্চে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এবার সেটাও নিয়মিত করার বিশাল সুযোগ করে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৮ জুলাই) এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলার অনুযায়ী খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে এখন আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে। আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ।

এ ঋণ পরিশোধ করা যাবে ৫ থেকে ৮ বছরে। আগে সময় দেওয়া হতো সর্বোচ্চ দুই বছর। এমনকি এখন নতুন করে ঋণও নিতে পারবেন খেলাপিরা।

সার্কুলার অনুযায়ী পর পর চারবার ঋণ খেলাপি হলেও ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। অর্থাৎ ১৮ বছর ঋণের সব টাকা ফেরত না দিলেও গ্রাহকের আইনি সমস্যা হবে না।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব, বহির্বিশ্বের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নতুন করে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নতুন নীতিমালা জারি হয়েছে। এছাড়া, শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থও দেখা হয়েছে এখানে।

ব্যাংকগুলোকে এই সার্কুলারের আলোকে নিজস্ব নীতিমালা করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরও বলা হয়েছে, যেসব গ্রাহক আর্থিক দুরবস্থায় রয়েছে অথবা গৃহীত ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ আদায়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে এরূপ ক্ষেত্রে যাতে নিয়মমাফিক পুনঃতফসিলিকরণ বা পুনঃ পুনঃ পুনঃতফসিল পরিহার করা যায় সে লক্ষ্যে নীতিমালায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এও বলেছে, ঋণগ্রহীতা কর্তৃক তহবিল অন্যত্র স্থানান্তর কিংবা তিনি একজন ‘অভ্যাসগত ঋণখেলাপি’ হলে তার পুনঃতফসিলিকরণের আবেদনপত্র বিবেচনাযোগ্য হবে না। তার ঋণ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, শ্রেণিকৃত কোনও ঋণ সর্বোচ্চ তিনবার পুনঃতফসিলযোগ্য হবে। তবে, খেলাপি ঋণ আদায়ের স্বার্থে বিশেষ বিবেচনায় ৪র্থবার পুনঃতফসিল করা যাবে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top