ভারত থেকে রেলপথে ৪২ দিনে সাড়ে ২৪ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৩৭; আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ২০:৩১

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর হয়ে রেলপথে ভারত থেকে বেসরকারি উদ্যোগে ২৪ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারি সিদ্ধান্তে চলতি অর্থবছরের ২৭ জুলাই থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪২ দিনে এসব চাল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে চলতি মাসেই আমদানি হয়েছে ৯ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন। এ ছাড়া আরও ৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

দর্শনা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২৭ জুলাই এ বন্দর দিয়ে এক র‍্যাক (রেল কার্গো বা কনটেইনার ট্রেন) চাল আমদানি করা হয়েছে। সাধারণত এক র‍্যাকে ৪০ থেকে ৪২টি ওয়াগন থাকে। এদিকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মজুমদার অ্যাগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল জুলাই মাসের ওই চালানে ২ হাজার ৪৩৪ দশমিক ৬২১ মেট্রিক টন চাল আমদানি করে। এ ছাড়া ঢাকার সেতু এন্টারপ্রাইজ ও মজুমদার অ্যাগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে আগস্টে ১২ হাজার ১৩৬ দশমিক ৬৫৫ মেট্রিক টন ও সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত ৯ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক মীর লিয়াকত আলী জানান, ভারতের বিভিন্ন জেলা থেকে কেনা চালগুলো রেলপথে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গেদে বন্দর হয়ে দর্শনা বন্দরে আসে। দর্শনায় শুল্ক বিভাগ, রেল বিভাগ ও উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ বিভাগের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমদানি করা চালের চালানগুলো খালাসের জন্য চলে গেছে যশোরের নওয়াপাড়া, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। সেখানে রেলওয়ের আনলোডিং পয়েন্টে খালাসের পর তা আমদানিকারকের গুদামসহ বড় বড় মোকামে ট্রাক করে পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে আমদানিকারকেরা চালগুলো সাধারণত পাঠান বগুড়ার সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামে।

তবে দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর হয়ে রেলপথে বেসরকারিভাবে এই বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করা হলেও স্থানীয় বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির ফলে দেশের চালের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় চালের দর কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top