আমান কটনের জালিয়াতি, চার পরিচালককে জরিমানা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী ২০২২ ১৩:৪৩; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৫০

ছবি: সংগৃহীত

আইপিওর টাকা ব্যাংকে স্থায়ী আমানত বা এফডিআর করে সেই এফডিআরের বিপরীতে গ্রুপের অন্য কোম্পানির নামে ঋণ নিয়ে অপব্যবহার করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমান কটন ফাইবার্স। এ জন্য কোম্পানিটির পরিচালকদের প্রত্যেককে তিন কোটি টাকা করে জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির আজ বৃহস্পতিবারের সভায় এ জরিমানা করা হয়। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কোম্পানিটি ২০১৮ সালে যন্ত্রপাতি কেনা ও ব্যাংকঋণ পরিশোধের জন্য শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৮০ কোটি টাকা তুলেছিল। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আইপিওর টাকা থেকে ৭৩ কোটি টাকা কোম্পানিটি ব্যাংকে এফডিআর করে। পরে সেই এফডিআর লিয়েন বা বন্ধক রেখে গ্রুপের অন্য কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েছে কোম্পানিটি। এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে আইপিওর টাকার অপব্যবহার করেছে কোম্পানিটি।

এ ছাড়া কোম্পানিটি নিয়ম ভেঙে সহযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ সরিয়েছে। যথাযথ কাগজপত্র ছাড়াই এসব লেনদেন করা হয়। তাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে। অথচ তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফার সুফল গেছে গ্রুপের অন্য কোম্পানিতে।

নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি তার আয়ের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ সুবিধাভোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমান কটন তাদের সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৮ শতাংশের বেশি লেনদেন করেছে। এর মাধ্যমে এক কোম্পানির অর্থ অন্য কোম্পানিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে বিএসইসি। এসব জালিয়াতি করতে গিয়ে কোম্পানিটি আর্থিক প্রতিবেদনেও মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। কিন্তু নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি। এ কারণে কোম্পানিটির নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান আতা খান অ্যান্ড কোং–কেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

আমান কটনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কোম্পানিতে মোট পরিচালক রয়েছে ৬ জন। এর মধ্যে একজন স্বতন্ত্র ও একজন মনোনীত পরিচালক। বাকি চারজনের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দুইজন পরিচালক। বিএসইসি কোম্পানিটির মনোনীত ও স্বতন্ত্র পরিচালক বাদে অন্য পরিচালকদের তিন কোটি টাকা করে জরিমানা করেছে। সেই হিসাবে কোম্পানিটির চার পরিচালককে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া আইপিওর অংশ থেকে ৭৩ কোটি টাকার এফডিআর বন্ধক রেখে কোম্পানিটি গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে যে ঋণ নিয়েছে, সেই ঋণের বন্ধকি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। সাত দিনের মধ্যে এফডিআরের বন্ধকি বাতিল করে তা কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top