উপকারী মধু কাদের জন্য ক্ষতিকর!

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪১; আপডেট: ৪ মে ২০২৪ ০৫:৩৭

ছবি: প্রতীকী

মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এতে এনজাইম রয়েছে যা হজমে সাহায্য করতে পারে। খালি পেটে মধু খেলে হজমের উন্নতি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। তবে সবার জন্য মধু ভালো নয়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মধু চিনির বিকল্প হিসেবেও কাজ করে। মধুর উপকারিতা নিয়ে আরও জানা যায়-


মধুর উপকারিতা

১.মধুতে ফেনোলিক অ্যাসিড ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা সুস্বাস্থ্যে সহায়ক হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

২. চিনির পরিবর্তে উচ্চমানের মধু খাওয়ার ফলে হৃৎপিণ্ডের নানামাত্রিক উপকার হতে পারে। এটি হৃদরোগের বেশ কিছু ঝুঁকি কমানোয় সহায়ক হতে পারে। ৩০ দিনের একটি গবেষণায় অংশ নেয়া ৫৫ জনের ওপর চিনি ও মধুর প্রভাব পরীক্ষা করা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, মধু অংশগ্রহণকারীদের ‘ক্ষতিকর’ এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করেছে। অন্যদিকে ‘ভালো’ কোলেস্টেরল এইচডিএল বাড়াতে সহায়তা করেছে মধু।

৩. আয়ুর্বেদের মতো প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী ক্ষত নিরাময়ে ত্বকে সরাসরি মধু ব্যবহার করা হতো। মধুর ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান এবং সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধে এর সক্ষমতার কারণে এমনটি করা হতো।

৪. টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৪৮ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, মধু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ালেও চিনির মতো বৃদ্ধি করে না।

ক্ষতির কারণও হয়ে ওঠে-

অনেকে ওজন কমাতে মধু খান। নিয়মিত মধু খেলে পাকস্থলিতে বেশি পরিমাণ গ্লুকোজ তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ মস্তিষ্কের সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেয়। তার ফলে মেদ কমানোর হরমোন নিঃসরণের জন্য বেশি মাত্রায় চাপ সৃষ্টি করে। ফলে তাড়াতাড়ি ওজন ঝরে যায়। এছাড়াও মধুর কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। আর তাই এই সব রোগীরা মধু না খেলেই ভাল।

১. মধুতে আছে শর্করা। আছে ক্যালোরিও। মধুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট। যা রক্তশর্করা বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা মধু ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন। আদৌ মধু আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা সেই বিষয়ে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. মধু খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তাই যদি প্রয়োজনে মধু খেয়েও থাকেন তাহলে তা কম পরিমাণে খাবেন। বেশি পরিমাণে মধু খেলেই চাপ পড়ে অন্ত্রের উপর।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়ে যায় যদি রোজ মধু খান। গরম পানিতে মধু খেলে হাফ চামচের বেশি নয়। তবেই কিন্তু উপকার পাবেন। অতিরিক্ত মধু চাপ ফেলে হজম ক্ষমতার উপর।

৪. মধু দাঁতের জন্যও ভাল নয়। অতিরিক্ত মধু খেলে দাঁতের অ্যানামেল ক্ষয়ে যায়। দাঁত দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দাঁত বিবর্ণও হয়ে যায়।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top