দেশের ৫ কোটি মানুষ থাইরয়েড আক্রান্ত, বেশিরভাগই গ্রামে

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৪ ২০:২৮; আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ২০:৩২

ছবি: সংগৃহিত

দেশের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের কাছাকাছি মানুষ বিভিন্ন ধরনের থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত। সে হিসাবে দেশের পাঁচ কোটি মানুষ এ সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু থাইরয়েডে আক্রান্ত অর্ধেকেরও বেশি মানুষ জানেন না তারা এ সমস্যায় ভুগছেন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই গ্রামে বাস করেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস-২০২৪।

এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘থাইরয়েড রোগ, অসংক্রামক রোগ’। ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বে দিনটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে উদযাপিত না হলেও থাইরয়েড রোগসংশ্লিষ্ট সংগঠন থাইরয়েড টাস্কফোর্স, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি (বিইএস) কয়েক বছর নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করছে। এ ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় চিকিৎসকরা জানান, থাইরয়েড গ্রন্থি গলার সামনের দিকে প্রজাপতিসদৃশ একটি গ্রন্থি, যা ঘাড়ের সামনের দিকে শ্বাসনালীর চারপাশে আবৃত থাকে। গ্রন্থিটি ছোট হলেও এর কার্যকারিতা ব্যাপক। শরীরে থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম এবং বেশি উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম। থাইরয়েড সমস্যা হলে শরীরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। এ অবস্থায় থাইরয়েডের লাগাম টানতে নবজাতক জন্মের পর দ্রুত থাইরয়েড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির দেওয়া তথ্যমতে, বর্তমানে বিপুল জনগোষ্ঠী থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি মানুষ থাইরয়েড জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের প্রায় ২ শতাংশ এবং পুরুষদের প্রায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হাইপারথাইরয়েডিজম (হরমোনের বৃদ্ধিজনিত সমস্যা) রোগে ভোগেন। আর ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ নারীদের মধ্যে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হারে হাইপোথাইরয়েডিজম (হরমোনের ঘাটতিজনিত) সমস্যা থাকতে পারে। তাছাড়া প্রায় ৭ শতাংশ মহিলা ও পুরুষ সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগে থাকেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, নবজাতক শিশুদেরও থাইরয়েডের হরমোন ঘাটতিজনিত সমস্যা হতে পারে এবং তার হার ১০ হাজার জীবিত নবজাতকের মধ্যে দুই থেকে আটজনের হতে পারে। আবার বাড়ন্ত শিশুদের থাইরয়েড হরমোন ঘাটতিতে ভুগতে পারে। যা শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং পরবর্তী সময়ে মেধার উন্নতি করা সম্ভব হয় না। আবার হরমোনের পরিমাণ স্বাভাবিক থেকেও থাইরয়েডের গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে। সাধারণত আয়োডিনের অভাবে গলাফোলা রোগ হয়ে থাকে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top