বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের ৫৩তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

রাজটাইমস ডেস্ক:  | প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৪১; আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:০০

ছবি: সংগৃহিত

দেশের সাত বীরশ্রেষ্ঠ’র একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অসামান্য। অসম সাহসিকতার জন্য তিনি এ দেশের মানুষের মনে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন।

দেশের গর্ব এই বীরশ্রেষ্ঠ’র ৫৩তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট বীরের মতো লড়তে লড়তে শহিদ হন।

১৯৭১ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে মতিউর সপরিবারে দুই মাসের ছুটিতে করাচি থেকে ঢাকা আসেন। ২৫ মার্চের কালরাতে মতিউর ছিলেন নরসিংদীর রায়পুরের রামনগর গ্রামে।

পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়েও অসীম ঝুঁকি ও সাহসিকতার সঙ্গে ভৈরবে একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খুলে বাঙালি যুবকদের প্রশিক্ষণ দেন। বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা অস্ত্র দিয়ে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ বাহিনী। পাকসেনারা ভৈরব আক্রমণ করলে বেঙ্গল রেজিমেন্টে ইপিআর-এর সঙ্গে থেকে প্রতিরোধ ব্যূহ তৈরি করেন। এর পরই কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে জঙ্গিবিমান দখল এবং সেটা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।

মতিউর সবচেয়ে দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করেন একাত্তরের ২০ আগস্ট। এইদিন সকালে করাচির মৌরিপুর বিমানঘাঁটি থেকে জঙ্গিবিমান ছিনতাই করেন। ঘটনা জানাজানি হলে চারটি জঙ্গিবিমান মতিউরকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হলে মতিউর নিহত হন। সেখান থেকে করাচির মাসরুর বিমানঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের অসীম সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মূল্যায়নস্বরূপ তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ২০০৬ সালের ২৪ জুন তাকে শত্রুভূমি পাকিস্তান থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এনে স্বাধীন বাংলার মাটিতে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিক্ষেত্রে পুনরায় সমাহিত করা হয়।

মতিউর রহমানের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর। বাবা মৌলভী আবদুস সামাদ, মা সৈয়দা মোবারকুন্নেসা খাতুন। পৈতৃক নিবাস নরসিংদীতে হলেও জন্ম তার পুরনো ঢাকায়।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top