ব্যাভিচার আফগানিস্তানে ১৪ জনকে প্রকাশ্যে চাবুক মারা হলো
রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৪:০১; আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ০২:১৩
-2022-11-24-17-01-15.jpg)
আফগানিস্তানে ইসলামী শরিয়া আইন অনুসারে প্রকাশ্যে চাবুক মেরে শাস্তি দেওয়া হয়েছে অন্তত ১৪ জনকে। এদের মধ্যে তিনজন নারীও ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাভিচার, চুরিসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ডয়েচে ভেলের খবরে জানা যায়, আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) ১৪ জনকে প্রকাশ্যে চাবুক মারার শাস্তি দেন। এরপর লোগার অঞ্চলের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে অভিযুক্ত ১৪ জনের শাস্তি কার্যকর করা হয়।
অভিযুক্তদের চাবুক মারার সময় দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।
আদালতের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালেবানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হাবিবুল্লাহ আখুন্দজাদা বিচারপতিদের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন, শরিয়া আইন অনুসারে যেন শাস্তি দেওয়া হয়।
লোগার গভর্নরের অফিস থেকে বলা হয়েছে, শাস্তি দেওয়া দেখতে তারা সম্মানিত পণ্ডিতদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুজাহিদিন, বয়স্ক মানুষ, জনজাতি নেতা এবং স্থানীয়দেরও।
এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপি’কে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রত্যেককে ২১ থেকে ৩৯ বার চাবুক মারা হয়।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান শাসন ছিল। তখনো সেখানে চাবুক মারা, পাথর ছুঁড়ে মারা, অঙ্গচ্ছেদের শাস্তি দেওয়া হতো।
২০২১ সালে আবার ক্ষমতায় এসেছে গোষ্ঠীটি। তারপর থেকে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা মানবাধিকার, বিশেষ করে মেয়েদের অধিকার নিয়ে তালেবানের কাজকর্মের ওপর নজর রেখেছে।
তালেবান শুরুতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাদের এবারের শাসন হবে অনেকটাই উদার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে এসেছে গোষ্ঠীটি। তারা এখনো মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক স্তরের স্কুল খোলেনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে আফগানিস্তানের নীতি পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে, কোনো বিনোদন পর্কে মেয়েরা ঢুকতে পারবে না।
এনএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: