শান্তিতে নোবেল পেল ডব্লিউএফপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২০ ২৩:১২; আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০ ০১:১২

ফাইল ছবি

এই বছর নোবেল শান্তি পুরষ্কারের মুকুট পরানো হল বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এর মাথায়। খবর সিএনএন

শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ঘোষণাকারী প্রতিষ্ঠান নরওয়ের নোবেল কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানটির ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ার লড়াইয়ে ভূমিকা থাকায় এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে।

ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে ১৯৬১ সালে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে শান্তি পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা ও যুদ্ধ-সংঘাত কবলিত এলাকায় ক্ষুধাকে যাতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত না হয়, তা প্রতিরোধে মূল ভূমিকা রাখে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্বে ক্ষুধা নিরসনে কাজ করা সংস্খার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।এটি জাতিসংঘের সহায়তা সংক্রান্ত একটি শাখা।

প্রতিষ্ঠানটির প্রদত্ত তথ্যমতে, সংস্থাটি প্রতি বছর ৭৫টি দেশে ৯ কোটি লোককে খাদ্য সহায়তা দান করে।

আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির সদর দপ্তর রোমে। এটির সারা বিশ্বে ৮০টিরও বেশি শাখা আছে। এগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এমন সব মানুষকে সাহায্য করে, যারা নিজেদের জন্য এবং পরিবারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খাবার উৎপাদন কিংবা আহরণ করতে অক্ষম।

নতুন এক বিশ্বখ্যাত ভূষণ লাভ করা সংস্থাটি জাতিসংঘ উন্নয়ন গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য।ডব্লিউএফপিকে চলতি বছরে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন সরকারকে এই বার্তা দেয়া হয়েছে, যাতে আন্তজাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর তহবিল কাটছাঁট না করা হয়।

এই পুরষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বে একটি বার্তা পৌঁছাবে বলে মনে করেন নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রেইস-আন্ডারসন। তিনি বলেন, এবারের এই পুরস্কার ঘোষণা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তহবিল না কমাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান। লোকজন যাতে খাদ্যাভাবে না থাকেন, তা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের এক ধরনের বাধ্যবাধকতা আছে।

মানবিক সহায়তায় কাজ করে যাওয়া সংস্থাটির সাম্প্রতিক কয়েক বছরে তহবিল কমে গেছে। বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তহবিল কমিয়ে দেয়ায় এমনটি ঘটছে।

নোবেল কমিটির প্রধান আরো বলেন, অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভালো টিকা হচ্ছে খাদ্য। এসময়ে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহের ওপর করোনা মহামারীর অভিঘাতের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

মহামারী পরিস্থিতিতেও সর্বোচ্চ নিজেদের চেষ্টা দেখিয়েছে সংস্থাটি। তেমনটাই জানালেন আন্ডারসন। তিনি বললেন, বিশ্বে ক্ষুধার্তদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষেত্রে করোনার অবদান রয়েছে। মহামারীর মুখোমুখি হয়েও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি নিজের বিভিন্ন উদ্যোগ আরও জোরালো করতে চমৎকার সক্ষমতা দেখিয়েছে।

  • এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top