সৌদি আরবে ১০ বিচারপতির মৃত্যুদণ্ড

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৩ ০৩:৪২; আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩ ০৩:৪৫

সৌদি আরবে ডি-ফ্যাক্টো শাসক যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের মার্চের একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে গোটা বিশ্বের নজরে এসেছিল সৌদি আরব। এবার সামনে আরেক তথ্য। ১০ জন বিচারপতিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর অপরাধেই তাদের এই ‘এতিহাসিক’ শাস্তি দিল সৌদি আরব। ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ (ডএডব্লিউন)। খবর যুগান্তরের। 

১০ জনের মধ্যে ৬ জন রিয়াদের স্পেশালাইজড ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারপতি। বাকি চারজন হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি। ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল তাদের গ্রেফতার করে সৌদি স্টেট সিকিউরিটি এজেন্সি। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত জেলেই বন্দি রয়েছেন।

তাদের কোনো রকম আইনি সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে না প্রশাসনের তরফে। শুধু তাই নয়, পরিবার এবং বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাজাপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্যে একজন হলেন আল লুহাইদান। তিনি ২০২০ সালে বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মী লুজাইন-আল-হাথলাউলকে তার এজলাসে পেশ করার ২ মাসের মধ্যেই মুক্তি দিয়েছিলেন।

লুজাইনকে আগে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সৌদি আদালত। কিন্তু সেই মামলা লুহাইদানের এজলাসে ওঠার পর তিনি লুজাইনের শাস্তি কমিয়ে মাত্র ২ বছর ১০ মাসের সাজা শোনান।

সেই সাজার বেশিরভাগটাই আগে অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের ফেব্র“য়ারিতে মুক্তি পান ওই নারী অধিকার রক্ষা কর্মী। বাকি ‘অভিযুক্ত’ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের সরিয়ে দিয়ে ইতোমধ্যেই সেই জায়গায় অন্য বিচারপতিদের নিয়োগ করেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স।

সূত্রের খবর, নবনিযুক্ত বিচারপতিরা রাষ্ট্রের প্রতি অত্যন্ত অনুগত। তারা ইতোমধ্যেই দেশদ্রোহিতা এবং অন্যান্য অভিযোগে বিচারাধীন মানবাধিকার এবং নারী অধিকার কর্মীদের সাজা বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, শুধু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দুজনের সাজা ৮ বছর এবং ১৩ বছর থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ৩৪ এবং ৪৫ বছর করে দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতিদের এভাবে অভিযুক্ত করা এবং শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর মাধ্যমে সৌদি সরকার এই বার্তা দিতে চাইছে যে, ন্যূনতম রাষ্ট্রদ্রোহিতাও কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সন্ত্রাস এবং অন্যান্য অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মীদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা না দিলে একই শাস্তির মুখে পড়তে হবে বিচারপতিদেরও।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top